‘মুক্তিফৌজ’ এর অংশ গ্রহণের ডাক
তিনি আরও জানিয়েছেন, “বিগত মার্চ মাসের প্রথম থেকে আমাদের সংগঠন সামরিক শিক্ষা গ্রহণের যে ব্যবস্থা করেছেন তা এখনও অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমরা বাঙলাদেশের তরুণদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, স্বদেশ ভূমির মুক্তির জন্য দলে দলে মুক্তিফৌজ এ অংশগ্রহণ করুন। এই সঙ্গে আমরা আমাদের কর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছে, সামরিক শিক্ষাগ্রহণের দেশ মাতৃকা মুক্তি সংগ্রামে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
“আমরা বাঙলাদেশের সকল শ্রেণির মানুষকে মনােবল অক্ষুন্ন এবং বিশেষতঃ ছাত্র ও যুবকদের শত বাধা বিপত্তি, সমস্যা ও দুঃখ কষ্টের মধ্যেও মুক্তি সংগ্রামকে তীব্রতর ও মনােবল ইস্পাত দৃঢ় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গতঃ সংগ্রামে বাঙলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছে, “আমাদের সংগঠন প্রথম থেকেই সমস্ত শক্তি নিয়ে এই মুক্তিসংগ্রামের অংশগ্রহণ করেছে এবং আমাদের সংগঠনের হাজার হাজার সভ্য ও সমর্থক এই লড়াইয়ে নায়ক হয়েছেন। এই সংগ্রামে আমাদের বেশ কিছু সংখ্যক সভা ও সমর্থক ইতােমধ্যে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর হাতে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন ও গ্রেপ্তার হয়েছেন।”
বিশ্বের ছাত্র ও যুবকদের কাছে আবেদন
“বাঙলাদেশের কোটি কেটি মানুষের এ সংগ্রামে জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম। আমরা বিশ্বের গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিসমূহ দেশ ও সরকারসমূহের কাছে…
সূত্র: কালান্তর, ২৬.৬.১৯৭১