টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ-এর তিনটি থানা মুক্ত
বিভিন্ন রণাঙ্গনে বাঙলাদেশ মুক্তিযােদ্ধাদের অগ্রগতি
কলকাতা, ৮ জুলাই (ইউএনআই) দিনের পর দিন বাঙলাদেশের বিভিন্ন রণাঙ্গনে মুক্তিযােদ্ধাদের তৎপরতা তীব্রতর হচ্ছে এবং একাধিক্রমে তারা পাকসেনাদের হয় খতম করছে নতুবা বেকাদায় ফেলতে সক্ষম হচ্ছেন। ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলে তিনটি থানা এলাকায় মুক্ত অঞ্চল সৃষ্টি করতে গেরিলা যােদ্ধারা সক্ষম হয়েছে। যশাের রণাঙ্গনে দর্শনার কাছে মহেশপুর এলাকায় পাকসেনাদের একটি দলের উপর আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিবাহিনী বহু শত্রুসৈন নিশ্চিহ্ন করে। ৬ জুলাই লালমনির হাটের উততরে (রংপুর রণাঙ্গন) আকস্মিকভাবে একটি সৈন্য ঘাটিতে আক্রমণ করে। ফলে ঐ রণাঙ্গনের ইয়াহিয়া সৈন্য সর্বদাই তটস্থ ; লালমনির হাটে তারা অপর একটি সম্মুখ লড়াইতে ৯ জন পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদারকে নিহত করে।
৫ জুলাই শ্রীহট্ট রণাঙ্গণের রতনপুরে একটি সাঁকো উড়িয়ে দিয়ে কিছু অস্ত্রশস্ত্র ও মুক্তিযােদ্ধারা দখল করে। ঐ দিনই একজন কুইসলিংকে (ইয়াহিয়ার দালাল) মুক্তিবাহিনী গ্রেপ্তার করে।
ঢাকার ৪০ কিলােমিটার দূরে ইনদেওহাটায় দেশপ্রেমিকদের দল ইয়াহিয়া সেনাদের উপর আঘাত হেনে কিছুকে নিহত করে। টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ-এ মুক্তি বাহিনীর অগ্রগতি রােধ করতে গিয়ে পাকসেনারা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিকালে আগরতলায় আগত বাঙলাদেশ শরণার্থী জানিয়েছেন, কুমিল্লা শহরেও গেরিলা যােদ্ধারা সক্রিয়। তাঁরা বলেন, ৫ জুলাই শহর থেকে এক মাইলের মধ্যে একিট থানায় আক্রমণ চালিয়ে মু দুজন পুলিশ মেরেছে। ৬ জুলাই তারা টাউন হলে বাঙলাদেশ পতাকা উড্ডীন করে। ১২ ঘণ্টা ঐ পতাকা উড্ডীন ছিল।
সূত্র: কালান্তর, ৯.৭.১৯৭১