কুমিল্লার নবীনগরে ১৩০ জন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত
আগরতলা, ২৪ সেপ্টেম্বর (ইউএনআই) সম্প্রতি কুমিল্লা জেলার নবীনগরে মুক্তিবাহিনীর হাতে ১৩০ জন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়েছে। নিহতরা গ্রামে লুঠতরাজ ও অগ্নিসংযােগের কাজে লিপ্ত ছিল। পাকসেনাদের গুলিতে ৩০ জন অসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পাকসেনারা মিরপুর গ্রামে হাঙ্গামা চালায়। হাঙ্গামাকারীদের মধ্যে কিছু রাজাকারও ছিল। এরা পাট, ধান ইত্যাদি লুণ্ঠন করে এবং গৃহে অগ্নিসংযােগ করে। মুক্তিবাহিনী এখানে হাঙ্গামাকারীদের প্রচণ্ডভাবে বাধা দেয়। ফলে ৩১ জন পাক নাগরিক নিহত এবং ৩ জন আহত হয়। পরে পাকসেনাদের আরেকটি দল নৌকাযােগে হাঙ্গামাকারীদের সাহায্যে এগিয়ে আসে এবং তিনজন অসামরিক ব্যক্তিকে নিহত ও ৬জনকে আহত করে। অতঃপর হাঙ্গামাকারীরা পাশ্ববর্তী গ্রাম ডাফুনিয়াতে আক্রমণ চালায়। হাঙ্গামাকারীরা বৈদ্যকুটে হাঙ্গামা চালিয়ে একটি পরিবারের ৬ জন খুন করে।
কিছুদিন পূর্বে দখলদারী সেনারা নৌকাযােগে কসবা থানা এলাকার ছাড়গড় গ্রামে হাঙ্গামা চালায়। ২৪৫টি বাড়ি তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে। পরদিন রায়তলা গ্রামের প্রায় তিনশ’ বাড়ি হাঙ্গামাকারীরা পুড়িয়ে দেয়। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দখলদার পাকসেনারা উল্লিখিত গ্রাম আবারও হাঙ্গামা চালায়।
বহুক্ষেত্রে মুক্তিবাহিনী সাহসিকতার সঙ্গে হাঙ্গামাকারীদের মােকাবিলা করেন এবং প্রায় একশ হাঙ্গামাকারীকে খতম ও বহু নৌকা ডুবিয়ে দেন। মন্দরপুর গ্রামে ১৩ জন অসমারিক ব্যক্তি পাক হানাদারদের আক্রমণে নিহত হয়েছে।
সূত্র: কালান্তর, ২৫.৯.১৯৭১