বাংলাদেশের সংগ্রামের রণকৌশল
শ্রীপান্নালাল দাশগুপ্ত বাংলাদেশ-এর সংগ্রামের রণকৌশল বর্ণনা করে জানান, পূর্ব-বাঙলার লড়াই পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে বিশেষভাবে শিক্ষণীয় সেখানকার অনন্য গণঐক্য, আত্মত্যাগ ও ধর্মনিরপেক্ষতা। তিনি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্রগুলির সমালােচনা করে জানান, বাঙলাদেশ’-এর সংগ্রাম হপ্তাখানেকের বিষয় নয় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ। তিনি বলেন, ভারত সরকারকে সক্রিয় সাহায্যদানের ব্যাপারে বাধ্য করতে পারলে ও দেশের আন্দোলন হয়ে উঠবে দুর্জয়।
শ্রীবিবেকানন্দ মুখােপাধ্যায় এই আশা প্রকাশ করেন যে, ভিয়েতনাম ও আরব রাষ্ট্রসমূহকে যে সােভিয়েত দেশ অকাতরে সাহায্যদান করছে সেই দেশই অনতিবিলম্বে বাঙলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে যথাসাধ্য সহায়তা পাঠাবে।
শ্রীমতি মৈত্রেয়ী দেবী ঐ সংগ্রামের উৎস সন্ধানে ভাষা আন্দোলনের বর্ণনা দিয়ে জানান বাঙলাদেশ’এর লড়াই কোন বিচ্ছিন্নতাকামী ও প্রাদেশিক আন্দোলন নয়। তার চেয়ে অনেক বড় সংগ্রাম।
সর্বশ্রী দক্ষিণারঞ্জন বসু, এস, এ মাসুদ, ডঃ রমা চৌধুরী, বাণী রায়, গৌরকিশাের ঘােষ, নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, অম্লান দত্তও বক্তৃতা করেন।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সমর্থন
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রীসুধাংশু পাল এবং সভাপতি অধ্যাপক সুকোমল কান্তি ঘােষ বাঙলাদেশের স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রামের সমর্থনে আহূত ৩১ মার্চের সাধারণ ধর্মঘটে সামিল হবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, পূর্ব বাঙলার এই সংগ্রামকে সফল করার জন্য শিক্ষকরা যেন প্রচার মিছিল ও সভা করেন।
ইউনাইটেড আয়রণ এণ্ড স্টীল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন
বাঙলাদেশের সংগ্রামী মানুষের সমর্থনে এবং জঙ্গী আক্রমণের প্রতিবাদে আগামী ৩১ মার্চ যে ধর্মঘটের আহ্বান দেওয়া হয়েছে তাতে বার্নপুর ও কুলটীর শ্রমিকরা অংশ নেবেন। ২৯ মার্চ বার্নপুর ও কুলটিতে ইউনাইটেড আয়রণ এন্ড স্টীল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন আয়রণ এন্ড স্টীল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন এই ধর্মঘটের ডাকে সকলকে সামিল হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এবং ধর্মঘটের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।
সূত্র: কালান্তর, ৩১.৩.১৯৭১