বিদেশী সংবাদপত্রে বাঙলাদেশের গণ-অভ্যুত্থান
লণ্ডন, ২৮ মার্চ (ইউএন/এপি) ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলি পূর্ববাঙলার এই পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তান সরকারকে অভিযুক্ত করেছে। সংবাদপত্রগুলিতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে পাকিস্তানের এবং তার অর্থনীতির মুখ্য সমর্থক হিসাবে ব্রিটেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবকে নিরাপত্তার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে দায়ী করবে। সানডে এক্সপ্রেস বলেছে :
স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই পূর্বাঞ্চল নির্যাতিত। এদেশ সমৃদ্ধশালী ও জনসংখ্যায় বেশি কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করে সৈন্য বাহিনী পাকিস্তানের শাসকেরা বিভিন্ন সময়ে সৈন্য বাহিনীকে নির্যাতনের যন্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। শেখ মুজিবর জনতার অবিসম্বাদি নেতা হলেও শাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাকে কোন স্থান দেওয়া হয়নি।
অবজারভার পত্রিকার মন্তব্য : সামরিক শক্তির জোরে পাকিস্তানের ঐক্য রক্ষিত হবে না বা পুনরায় ঐক্য প্রতিষ্ঠাও হতে পারবে না।
‘সানডে টেলিগ্রামে বলা হয়েছে— যা কিছু ঘটুক না কেন পুরােনাে পাকিস্তান আজ মৃত। শাসকশ্রেণি অস্ত্রের জোরে এক সত্যকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা করছে।
মার্কিন পত্রিকার মন্তব্য
‘ওয়াশিংটন ইভিনিং স্টার’ বলেছে, পাঞ্জাবের বেয়নেটের জেরে পাকিস্তানের জাতীয় সংহতি বজায় রাখা যাবে না।
ইয়াহিয়া খানের ৬০ হাজার পাঞ্জাবী, পাঠান এবং আফ্রিকাদি সৈন্য বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে সম্পূর্ণ বিদেশী বলেই গণ্য হবে। ঢাকা চট্টগ্রাম বা অন্যান্য শহর যদি তাদের দখলেও থাকে তারা বিদেশী দখলদার বা উপনিবেশবাদী হিসাবে চিহ্নিত থাকবে কিন্তু আজকের দিনে ঔপনিবেশবাদী অচল।
সূত্র: কালান্তর, ২৯.৩.১৯৭১