ভারত-পাক যুদ্ধ ১৯৭১
স্বদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের বীর সেনানীরা
সাম্প্রতিক ১৪ দিনের ভারত- পাক যুদ্ধের কোনাে এক গভীর রাত্রে কারগিলের সুউচ্চ পার্বত্য এলাকায় আমাদের জাওয়ানরা। পাকিস্তানি পিকেটের উপর আচম্বিতে আক্রমণ চালালাে পাকিস্তানিদের তাড়িয়ে দিয়ে সেই সুউচ্চ গিরিপ্রদেশে স্থাপিত হলাে বীর জাওয়ানদের একাধিপত্য। এই অভিযানের নায়ক ছিলেন মেজর চেওয়ান রিঞ্চেন। মেজর রিঞ্চেন ১৯৪৮-৪৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের যুদ্ধ মহাবীরচক্র লাভ করেন। তার বীর্যবত্তা তাকে দ্বিতীয়বার এনে দিল পুরস্কার।
কারগিলের আর-একটি লড়াইয়ে পাঞ্জাব রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়ান শত্রুর ঘাটির উপর আক্রমণ চালাতে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়। সুবেদার মহিন্দর সিং ঝাঁপিয়ে পড়লেন শত্রুরবুকের উপর। ধ্বংস করলেন। একটি বাংকার। সামনাসামনি লড়াইয়ে হতাহত হলাে বহু শত্রুসৈন্য। তার এই অসাধরণ সাহস ও বীর্যবত্তা সুনিশ্চিত করল পুরাে ব্যাটালিয়ানটির সাফল্য। সুবেদার মহিন্দর সিং মহাবীরচক্রে ভূষিত হয়েছেন।
পুঞ্চের যুদ্ধ
যুদ্ধের প্রারম্ভে পুঞ্চে পাকিস্তানি সৈন্যরা বিপুল শক্তি নিয়ে আমাদের ঘাঁটিগুলাের উপর আক্রমণ চালিয়েছিল। ব্রিগেডিয়ার অনন্ত বিশ্বনাথ নাটুর নেতৃত্বে আমাদের বাহিনী শত্রুর এই আক্রমণ মােকাবিল করবার জন্য প্রস্তুত হলেন। ব্রিগেডিয়ার নাটু এমন দক্ষতার সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষাসমূহের রচনা করলেন যে শত্রুপক্ষের ভারঅ কামানের গােলাবর্ষণ সত্ত্বেও পর পর চারদিনের আক্রমণ প্রতিহত করা হয়। ফলে একটি ঘটিও আমাদের হারাতে হয়নি। ব্রিগেডিয়ার নাটুর ব্রিগেডে বিখ্যাত শিখ রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়নও ছিল। তাদের কমান্ডিং অফিসার লেফটেনান্ট-কর্নেল কাশ্মীরী লাল রতনের নেতৃত্বে তারা ঘাঁটি আগলে ছিল এবং আমাদের ঘাঁটি দখলের জন্য শত্রুর সব আক্রমণই তারা ব্যর্থ করে দেয়। লেফটেনান্ট কর্নেল কাশ্মীরী লাল রতন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা তুচ্ছ করে এক কম্পানি থেকে আর এক কম্পানিতে গিয়ে জাওয়ানদের নির্দেশ দেন।
পুঞ্চে আমাদের বিমানবাহিনীর দুর্ধর্ষ আক্রমণ শত্রুর মনােবল ভেঙ্গে দিতে অনেকখানি সাহায্য করেছে। উইং কমান্ডার বিদ্যাভূষণ বশিষ্ঠের নেতৃত্বে এক স্কোয়াড্রন বােমারু বিমান খুব নিচু থেকে শত্রুর উপর আক্রমণ চালায়। এত নিচুতে উড়তে গিয়ে নিচ থেকে গােলাবর্ষণের যে ঝুঁকি থাকে তা তাে ছিলই। তাছাড়া সেখানকার পার্বত্যরাই এলাকার থেকেও উইং কমান্ডার বশিষ্ঠের মতাে বড় বােমারু বিমান নিয়ে নিচুতে উড়ে যাওয়া কম বিপজ্জনক ছিল না। ব্রিগেডিয়ার নাটু, ব্যাটালিয়ান কমান্ডার লেফটেনান্ট-কর্নেল কাশ্মীরী লাল রতন এবং উইং কমান্ডার বশিষ্ঠ সকলেই মহাবীরচক্র লাভ করেছেন।
ছাম্বের লড়াই
ছাম্বের যুদ্ধে সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর যৌথ প্রয়াসের ফলেই পাকিস্তানি আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। বিমানবাহিনীর বােমারু বিমানগুলাে শত্রুর মনােবল নষ্ট করে দিয়েছিল।
শত্রুবাহিনী যখন এক প্রবল আক্রমণ চালাল তখন শত্রুর মুখােমুখি ছিল লেফটেনান্ট-কর্নেল প্রেমকুমার খরায় নেতৃত্বে শিখ রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়ন। শত্রুর পদাতিক ও সাঁজোয়াবাহিনীর শক্তি ছিল অনেক বেশি। ক্রমাগতভাবে অবিরাম তারা আমাদের জাওয়ানদের উপর গােলাবর্ষণ করে চলেছিল। অত্যন্ত সুস্থমস্তিষ্কে এবং অপূর্ব সাহসিকতার সঙ্গে লেফটেনান্ট-কর্নেল খান্না পরিস্থিতির মােড় ঘুরিয়ে দিলেন। তাঁর একজন কম্পানি কমান্ডার মেজর জয়বীর সিং বার বার শত্রুর গােলাগুলির সম্মুখীন হয়েও অসামান্য দৃঢ়তার সঙ্গে শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করলেন। শত্রুপক্ষের প্রচুর সৈন্য হতাহত হলাে। পরের দিন যখন দুবার তাঁর অবস্থানের উপর আক্রমণ হলাে তখনও অদম্য সাহস ও সহনীয়তা দেখিয়ে তিনি তাঁর ঘাঁটি রক্ষা করলেন। এরকম একটি আক্রমণে শত্রুবাহিনী যখন তাঁর প্রতিরক্ষাসমূহ ভেদ করতে সক্ষম হলাে তখন মেজর জয়বীর সিং নিজের নেতৃত্বে তাদের উপর পালটা আঘাত হানলেন। এক প্রবল সম্মুখ যুদ্ধের পর হানাদার বাহিনীকে বিড়াড়িত করে দেওয়া হলাে। ছাম্বের যুদ্ধে লান্স নায়েক নরবাহাদুর ছেত্রী শত্রুর পাঁচটি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেন। ছাম্বের যুদ্ধে বিমানবাহিনীর যেসব বীর বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন উইং কমান্ডার মনমােহন বীর সিং তলােয়ার, স্কোয়াড্রন লীডার মাধবেন্দ্র ব্যানার্জী এবং স্কোয়াড্রন লীডার রবীন্দ্রনাথ ভরদ্বাজ। উইং কমান্ডার তালওয়ার ছাম্ব সেক্টরে দিবালােকে বিমান আক্রমণ চালান এবং মুনাওয়ার তায়ি নদীর কাছে শত্রুপক্ষের চারটি কামানের ঘাঁটি স্তব্ধ করে দেন। স্কোয়াড্রন লীডার ব্যানার্জী যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে এস-২২ বিমানে ১৪ বার বিমান আক্রমণ চালান। অধিকংশবারই তিনি ছাষের লড়াইয়ে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেন। স্কোয়ড্রন লীডার আর এন ভরদ্বাজ ১০ ডিসেম্বর ছাম্ব এলাকায় সেনাবাহিনীকে আকাশ পথে সাহায্য করেন। প্রথম আক্রমণের সময় তাঁর বিমান এবং তারা দ্বিতীয় সহকর্মীর বিমানটির প্রতি ভূমি থেকে গােলা নিক্ষেপ করা হয়। এই আঘাত কাটিয়ে উঠবার আগেই শত্রুর স্যাবার জেটকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে সেটিকে নিচে ফেলে দেন। এরপর তিনি পাকিস্তানি ট্যাঙ্ক ও সৈন্যদলের ওপর আক্রমণ চালিয়ে এবং শত্রুর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে তাঁর বিমানটিকে ঘাটিতে নিয়ে আসেন।
ছাম্ব যুদ্ধের সমস্ত বীরকেই মহাবীরচক্র দেয়া হয়েছে।
আক্রমণ প্রতিহত
পাঞ্জাবে পাকিস্তানিরা ডেরা বাবা নানক সেতু বরাবর এক ব্যাপক আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্ত আমাদের সেনাবাহিনীর সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়। আমাদের ব্রিগেডের নেতৃত্বে দেন ব্রিগেডিয়ার কৃষ্ণস্বামী গৌরীশঙ্কর। তাঁর নৈপুণ্য ও তেজোদীপ্ত শৌর্য তার সৈন্যদলকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং বিজয়কে করেছিল সুনিশ্চিত। ব্রিগেডিয়ার গৌরীশঙ্করকে মহাবীর চক্রে ভূষিত করা হয়েছে।
লঙ্গনওয়ালার যুদ্ধ পাকিস্তানের হঠকারী আক্রমণ কীভাবে তাদের পরাজয় ডেকে এনেছে তার নজির মেলে লঙ্গনওয়ালার যুদ্ধ। লঙ্গনওয়ালায় পাকিস্তানি ট্যাঙ্কের সমাধি রচনা করেছিলেন যেসব বীর বৈমানিকরা তারা ছাড়াও এই যুদ্ধের নায়ক হলেন মেজর কুলদীপ সিং চাদপুরী। বারবার শত্রুর ট্যাঙ্কের আক্রমণের সম্মুখীন হয়েও অসাধারণ সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে নতুন সৈন্য ও সমরাস্ত্র না আসা পর্যন্ত তিনি লঙ্গনওয়ালায় তার ঘাটি রক্ষা করেছিলেন। এছাড়া তার আক্রমণে শত্রুপক্ষ পর্যুদস্ত হয়ে ১২ টি ট্যাঙ্ক ফেলে পালিয়ে যায়। শত্রুপক্ষের হতাহতের সংখ্যাও প্রচুর। মেজর চাঁদপুরীও লাভ করেছেন মহাবীর চক্র।
মহাবীর চক্র বিজয়ীদের মধ্যে একজন সৈনিক রাজপুতও রয়েছেন। তিনি হলেন জয়পুরের লেফটেনান্ট কর্নেল সাওয়াই ভবানী সিং দশম প্যারা কমান্ডাে অফিসার হিসেবে তিনি নিজে তার বাহিনী নিয়ে পাকিস্তানি এলাকার খুব ভেতরে প্রবেশ করে সাফল্যের সঙ্গে চাচরাে এবং বিরাওয়াতে শত্রুর ঘাঁটিতে হানা দেন। চারটি বিনিদ্র দিন ও রাত তিনি যুদ্ধ করেছেন।
পূর্বাঞ্চলের লড়াই
পূর্বাঞ্চলে শত্রুপক্ষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে আমাদের সেনাবাহিনী সমস্ত ক্ষেত্রেই দ্রুত এগিয়ে যান। যশাের সেক্টরে ব্রিগেডিয়ার জে এস ঘরায়া অসাধারণ সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে তার ব্রিগেড পরিচালনা করেন। শত্রুসৈন্য চারবার তাঁর ব্রিগেডের উপর আক্রমণ চালায় এবং ভীষণভাবে ক্ষতি স্বীকার করে হটে যেতে বাধ্য হয়। ব্রিগেডিয়ার ঘরায়া ভীষণভাবে আহত হয়েও সম্পূর্ণ আক্রমণ সাফল্যমণ্ডিত না দেখে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন। কারণ বাঙলাদেশের আমাদের অগ্রগতির দিক থেকে এই আক্রমণের সাফল্য ছিল অশেষ গুরুত্ববহ।
যশােহরের যুদ্ধের আর একজন বীর হলেন মেজর দলজিত সিং নারাগ। শত্রুপক্ষের পদাতিক ও সাঁজোয়া আক্রমণের মুখােমুখি হয়ে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ট্যাঙ্কের মাথায় বসে তার নেতৃত্বাধীন এক স্কোয়াড্রন ট্যাঙ্কবাহিনী পরিচালনা করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত মেজর নারায় তার স্কোয়াড্রনের সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। এই যুদ্ধের আর এক বীর সেনানী সুবেদার মালকাইভ সিং। তিনি জীবন তুচ্ছ করে ট্রেঞ্চে ট্রেঞ্চে গিয়ে তার সৈন্যদের উৎসাহিত করছিলেন। শত্রুসৈন্য ৫০ গজের মধ্যে আসতেই তিনি বুকে হেঁটে এগিয়ে যান এবং দুজন মেসিনগান চালককে নিহত করেন। ইতিমধ্যে শত্রুপক্ষের একটি ট্যাঙ্কের গােলায় তিনি নিহত হন। যশােহরের যুদ্ধের আর দুজন নায়ক হলেন লেফটেনান্ট কর্নেল সুরিন্দর কাপুর এবং লেফটেনান্ট কর্নেল চিতাের বেনুগােপাল। আটগ্রাম রাইফেলম্যান দিল বাহাদুর ছেত্রী নামে এক তরুণ গােখা জাওয়ান তারা কুফরী দিয়ে আটজন পাকিস্তানি সৈন্যের গলা কেটে ফেলেন। কুষ্টিয়ার আর একজন গােখা জাওয়ান রাইফেলম্যান পাতিরাম গুরুং শত্রুর একটি মেসিনগান ঘাঁটি স্তব্ধ করে দিতে গিয়ে নিজের জীবন দেন। মুরাপারায় ল্যান্স নায়েক রাম উগড় পন্ডে শত্রুর দুটি বাঙ্কার স্তব্ধ করে দিয়ে তার ব্যাটালিয়নের অগ্রগতি সুনিশ্চিত করেন। কিন্তু রকেট লাঞ্চারের সাহায্যে তৃতীয় একটি বাঙ্কার ধ্বংস করতে গিয়ে তিনি নিহত হন। লাক্সামে মেজর অনুপ সিং গালাউত শত্রুর ওপর প্রচণ্ড আঘাত হানেন। এই বীর অফিসার আহত হয়ে পরে মৃত্যুবরণ করেন।
নৌবাহিনীর বীরেরা
ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী কুকরীর ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ মুল্লা নৌযুদ্ধের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। শত্রুর টর্পেডাে এই ফ্রিগেটটিতে আঘাত করে এবং তাকে ডুবিয়ে দেয়। কিন্তু ক্যাপ্টেন মুল্লা তার জাহাজ ত্যাগ করতে অস্বীকার করেন। জাহাজের যত বেশি সম্ভব নাবিকের জাহাজ ত্যাগের ব্যবস্থা করে ক্যাপ্টেন মুল্লা তাদের উদ্ধারের আর কী কী ব্যবস্থা নেয়া যায় তা দেখবার জন্য ব্রিজের ওপর চলে যান। তাঁকে সর্বশেষ দেখা গেছে এ অবস্থায় তার জাহাজের সঙ্গে তলিয়ে যেতে।
করাচীর ওপর নৌবাহিনীর আক্রমণের কে. পি. গােপাল রাও। কমান্ডার রাও-এর নেতৃত্বে তাঁর বাহিনী শত্রুর দুটি ডেস্ট্রয়ার এবং একটি মাইন অপসারক ধ্বংস করে। পরে তার বাহিনী করাচী বন্দরে গােলাবর্ষণ করে সেখানকার তৈলাধারগুলােতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই অভিযানে তার একজন স্কোয়াড্রন কমান্ডার ছিলেন কমান্ডার বভ্রুবাহন যাদব। বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানি বন্দরের এবং গুরুত্বপূর্ণ সাজসরঞ্জাম গুলিতে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দেয়। নৌবাহিনীর বিমান স্কোয়াড্রনের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন লেফটেনান্ট কমান্ডার এস. কে. গুপ্ত। তিনি শত্রুবাহিনীর বিমানবিধ্বংসী কামানের তীব্র আক্রমণের মুখােমুখি হয়েও তার সাহসিকতায় বিমানটিকে খুলনায় নিয়ে যেতে সমর্থ হন। বিমানটিতে গােলা লাগলেও সেখানে আক্রমণ শেষ করে তিনি সেটিকে আই-এন-এস বিভ্রান্ত বিমানবাহী জাহাজে নিরাপদে ফিরিয়ে আনেন। | নৌবাহিনীর আর দুজন বীরকৃতি নায়ক হলেন লেফটেনান্ট কমান্ডু জে পি এ নােয়ােনহা এবং কমান্ডার এম এন আর সামন্ত। গােলন্দাজ রেজিমেন্টের পর্যবেক্ষণ বৈমানিকদের মধ্যে অন্যতম মহাবীরচক্র প্রাপক হলেন ক্যাপ্টেন প্রদপিকুমার গৌর আক্রমণ চালনা করতে গিয়ে জীবন দান করেন।
বিমান বাহিনী
সেনাবাহিনীকে আকাশপথে মূল্যবান সাহায্য যােগাতে গিয়ে আমাদের বিমানবাহিনীর বিমানগুলাে শত্রুর এলাকায় খুব ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। পর্যবেক্ষণ ছাড়া তারা শত্রুর বিমানঘাঁটি, যােগাযােগ ব্যবস্থা, গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম এবং রসদবাহী ট্রেনের ওপর আক্রমণ চালায়। বীর বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে আছেন উইং কমান্ডার রমেশ সখরাম বেনেগাল, উইং কমান্ডার পদ্মনাভ গৌতম এবং উইং কমান্ডার স্বরূপ কৃষ্ণণ কাউল।
সূত্র: সপ্তাহ, ২৮ জানুয়ারি ১৯৭২