জন্মদিনের প্রতিশ্রুতি
তারও পর বাংলাদেশ’। পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ’-এর পথে সাড়ে সাত কোটি মানুষের দুর্জয় যাত্রাকে ‘কালান্তর প্রথম থেকেই যথােচিত শ্রদ্ধা ও গুরুত্বসহকারে অনুধাবন করেছে। এই বছর পঁচিশে মার্চের পর পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটি রাষ্ট্রের জন্ম, নতুন একটি নক্ষত্রের আবির্ভাবকে কালান্তর’ই প্রথম স্বাগত জানিয়েছে। সাড়ে সাত কোটি বাঙালির যুদ্ধ যে আসলে মুক্তিযুদ্ধ, সেখানে যে আর একটি ভিয়েতনাম সৃষ্টি হতে যাচ্ছে- ‘কালান্তর’ তা যথাসময়ে উপলব্ধি করেছে।
১৯৬৬ থেকে ‘৭১ এই ক’বছরের পৃথিবীই হলাে ‘কালান্তর।
মানুষের গ্রহান্তর যাত্রা, বিজ্ঞান ও টেকনােলজির ক্ষেত্রে নতুন নতুন আবিষ্কার, শিল্প-সাহিত্য-দর্শনের নতুন অগ্রগতি, এক কথায় সামগ্রিক মানব সভ্যতাই ‘কালান্তর’-এর উপজীব্য। সভ্যতার কেন্দ্রে মানুষ, মানুষের বীরত্ব…। “কালান্তর’ এই মানুষের, মনুষ্যত্বের পত্রিকা।
ষষ্ঠ বর্ষেও ‘কালান্তর’ তার এই অপরাজেয় ভূমিকা পালনে কৃতসঙ্কল্প।
‘কালান্তর’ দরিদ্র জনসাধারণের মুখপত্র। তাদের সহায়তা ও সমর্থনেই সে ধনিকশ্রেণীর বিরােধিতা বা আনুকূল্য সম্পূর্ণ করে নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে, হবে।
আজ এই শুভ জন্মদিনে, ভারতবর্ষের ইতিহাসের এক সন্ধিলগ্নে, ‘কালান্তর’ তার দুরূহ ভূমিকা পালনের পাথেয় হিসেবে আপন সহযাত্রীদের কাছে সশ্রদ্ধভাবে আশীর্বাদ ও সহযােগিতা কামনা করছি।
সূত্র: কালান্তর
৭.১০.১৯৭১