You dont have javascript enabled! Please enable it! ৬৮ সালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - সংগ্রামের নোটবুক

৬৮ সালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকেরা সবাই বাঙালি, অফিসারদের গড় অনুপাত বাঙালি ৫০ শতাংশ, পশ্চিম পাকিস্তানি ৫০ শতাংশ। ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ আর্মির পাইওনিয়ার কোরের দুটি কোম্পানির বাঙালি সৈনিকদের সমন্বয়ে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১ম ব্যাটালিয়ন (৭০০ সৈনিক) গঠন করা হয়। ব্যাটালিয়নের প্রথম কমান্ডিং অফিসার ছিলেন লে. কর্নেল ভি জে ই প্যাটারসন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কুমিল্লার অধিবাসী ব্রিটিশ আর্মির কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আবদুল গনি। বাঙালিরা যােদ্ধা জাতি নয়, এরকম একটি প্রচারণা অনেক বছর ধরেই চলে আসছিল। সুতরাং এ রেজিমেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে পশ্চিমাদের মনে সংশয় ছিল। ‘৬৫ সালের যুদ্ধে বেদিয়ান সেক্টরে অতুলনীয় শৌর্যবীর্য প্রদর্শন করে ১ম ইস্ট বেঙ্গল বাঙালিদের মুখ উজ্জ্বল করে। পাঞ্জাবিদের বিরূপ সমালােচনাও তাতে বন্ধ হয়। জন্মলগ্ন থেকেই ট্রেনিং, খেলাধুলা—সব ক্ষেত্রেই পশ্চিম পাকিস্তানি রেজিমেন্টসমূহ, যেমন বালুচ, পাঞ্জাব, ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের ইউনিটসমূহের সঙ্গে ইস্ট বেঙ্গলের অলিখিত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বাঙালি অফিসাররা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। [1, p. 44]

১ম ইস্ট বেঙ্গলের অফিসার মেস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ‘৬৫-র যুদ্ধের পর পাকিস্তানের উভয় প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১ম ইস্ট বেঙ্গলকে উচ্চ মানের বিদেশি সিলভারের তৈরি বেশ কয়েকটি ট্রফি উপঢৌকন দিয়েছিল। ঢাকার তৎকালীন নবাব পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক মূল্যবান উপহার দেন, যা মেসের শােভা বর্ধন করে। ‘৬৫-র যুদ্ধকালীন সময়ের ফিল্ড মেস ও যুদ্ধক্ষেত্রের অনেক ফটোগ্রাফসংবলিত চারটি বড় অ্যালবাম সযত্নে রক্ষিত আছে। [1, p. 45]

Reference:

[1] হাফিজ উদ্দিন, সৈনিক জীবন গৌরবের একাত্তর রক্তাক্ত পচাত্তর [Military life, seventy one the pride, seventy five the blood bath], 1st ed. Prothoma, 2020.