পুর্ববাংলার সংগ্রাম প্রসঙ্গে- প্রবীর বসু
দর্পণ কাগজের কয়েক সংখ্যায়ই শফিকুল হাসান পূর্ববঙ্গের সাম্প্রতিক গণজাগরণে বামপন্থী পার্টিগুলাের ভূমিকা নিয়ে কিছু তথ্য সরবরাহ করেছেন। চৌঠা জুনের সংখ্যায় ভাসানী-তােহা মনােমালিন্যের কিছু কারণও তিনি পাঠকদের অবগতির জন্য রেখেছেন। এদিক থেকে শফিকুলের তথ্য কিছুটা বাস্তবানুগ বলে আমার ধারণা।
তবে পরিস্থিতির সামগ্রিক বিশ্লেষণে শফিকুল হাসান পুরােদস্তুর ব্যর্থ হয়েছেন এবং স্থানীয় ঘটনার বিস্তৃত বিবরণের প্রতি অধিক নজর দিতে গিয়ে নিজের বিভ্রান্তিকে স্পষ্ট করেছেন এবং বেশ খানিকটা সংকীর্ণতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়ে ফেলেছেন।
শফিকুল হাসান মার্কর্সবাদী বলে দাবি করেছেন এবং তিনি চেয়ারম্যান মাওয়ের বিখ্যাত উক্তিতে ‘পলিটিক্যাল পাওয়ার গ্রোজ আউট অফ দি ব্যারেল অফ এ গান’ বিশ্বাস করেন বলে বলেছেন। চেয়ারম্যান মাওয়ের জনযুদ্ধের তত্ত্বে আস্থাবান এবং সম্ভবত চীনের পার্টির আন্তর্জাতিকতার লাইনের অনুগামী শফিকুল সাহেবের গােটা বিশ্লেষণে কেন চীনের পার্টি পূর্ববঙ্গের তথাকথিত অভ্যুত্থানকে শফিকুল বন্দিত ভাসানী সাহেব বা পূর্ব পাকিস্তানের মতিন ও দেবেন শিকদারপন্থী কমিউনিস্টদের ভাষায় অভিনন্দন জানাতে পারেন নি তার কোনাে জবাব নেই।
কোনাে দেশে বৈপ্লবিক পরিস্থিতিই মাত্র বিপ্লবের সুনিশ্চিত নির্ধারক নয়। পূর্ববঙ্গের ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক আঞ্চলিক বৈষম্য, সামন্ততান্ত্রিক কায়দায় এক অঞ্চলের ভাষাকে অন্য অঞ্চলের ভাষায় মনিব রূপে হাজির করা, এ দুটো যদি কোনাে জাতীয়তাবাদী অভ্যুত্থানের একমাত্র নিয়ামক হয়, তাহলে ভারতবর্ষেও অনুরূপ জাতীয়তাবাদী স্লোগানের জন্য বাঙালি জাগাে, বাঙালি ওঠো’ পার্টিকে অভিনন্দন জানাতে হয়, আঞ্চলিক বৈষম্যের জন্য ভারতবর্ষের উত্তরাঞ্চলকে ‘হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ’-এর আওতা থেকে মুক্ত করার জন্য উঠেপড়ে লাগতে হয়। দক্ষিণের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রের দাবিকে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক লাঠির জোরে অস্বীকার করার জন্য, নাগা ও মিজো পাহাড়ের জনসাধারণের স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে মিলিটারির স্টেনগান দিয়ে দমন করার জন্য, স্বতন্ত্র মাদ্রাজ রাজ্যের ডি এম কে দাবিকে উপেক্ষা করার জন্য ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকার রূপ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের প্রতিটি অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার অঙ্গ রাজ্যকেই তথাকথিত জাতীয়তাবাদী অভ্যুত্থানের জন্য লড়তে হয়।
সামন্ততান্ত্রিক ও ক্ষয়িষ্ণুধনতান্ত্রিক সমাজের প্রকৃতিই হলাে জনসাধারণের এক অংশকে আরেক অংশের সঙ্গে কোনাে না কোনােভাবে লড়িয়ে যাওয়া, কোনাে একটি অঞ্চলের শােষণলব্ধ রসদে অন্য অঞ্চলকে (যা শােষক শ্রেণীকে সহায়তা করে) আপাত সমৃদ্ধ করা, ধনকুবেররা যে ভাষাভাষীতে সংখ্যাধিক্য অথবা ক্ষমতাশালী, সে ভাষাকে একটু বেশি মূল্য দিয়ে উগ্র জাতীয়তাবাদী মনােভাবে ঐ ভাষার শােষিত মানুষকেও দীক্ষা দেয়া। এর মানে এই নয় যে, কোনাে ধনকুবের গােষ্ঠীর সাম্রাজ্যবাদী রীতিনীতি থাকার ফলেই সেই একমাত্র আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে যায়। ভারতবর্ষের আঞ্চলিক বৈষম্যের জন্য হিন্দী ভাষীদের বা গুজরাটি ধনকুবেরদের বা বম্বের ধনকুবেরদের বা ইন্দিরা সরকারকে সাম্রাজ্যবাদী বললে আসল বাস্তবতাকে লুকিয়ে রাখা হবে।
এ যুগের ক্ষয়িষ্ণু ধনতন্ত্র উনবিংশ শতাব্দীর ধনতন্ত্রের কোনাে প্রকার প্রগতিশীল ভূমিকায় যেতে তাে পারেই না, বরং পচাগলা সামন্ততন্ত্রের সঙ্গে পারস্পরিক মৈত্রীবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যুগপৎ শােষিত মানুষের উপর আক্রমণ চালায়। এ জন্যই বর্তমান বিপ্লবের যুগে, জনযুদ্ধের যুগে যে কোনাে জাতীয়তাবাদী অভ্যুত্থান সর্বহারার আন্তর্জাতিকতার লাইনে পরিচালিত না হলে বিপথগামী ও প্রতিবিপ্লবী হতে বাধ্য।
পূর্ববঙ্গের জনসাধারণকে শােষণ করে পশ্চিম পাকিস্তানের শােষকশ্রেণী পশ্চিম পাকিস্তানের শােষিত জনসাধারণকে একরত্তিও রেহাই দেয় না। শােষণের ভাগ বাটোয়ারা কী ভারতে কী পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ ও সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের নেতা এবং দেশীয় সামন্ততান্ত্রিক ও ধনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দালালদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
সুতরাং বর্তমান পৃথিবীতে নির্বিশেষে যে কোনাে আধা-সামন্ততান্ত্রিক ও আধা-ঔপনিবেশিক দেশের শােষিত জনসাধারণের মূল শ্রেণীশত্রুকে তাদের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিভূদের চিহ্নিত করা যে কোনাে জাতীয় কমিউনিস্ট পার্টির অবশ্য কর্তব্য এবং বৈপ্নিক জনযুদ্ধের এ যুগে জাতীয় স্তরে শ্রেণী সংগ্রামকে আন্তর্জাতিক স্তরের শ্রেণী সংগ্রামের সঙ্গে একসূত্রে গেঁথে নেয়া বৈপ্লবিক লক্ষ্যসাধন ও প্রতিবিপ্লবীদের সম্পর্কে সতর্ক হবার দিক থেকে অবশ্য প্রয়ােজনীয়।
পূর্ববঙ্গ মুজিবুর-ভাসানী নেতৃত্ব যে আন্তর্জাতিক লাইন নিয়েছে, তা প্রতিবিপ্লবী সুবিধাবাদী লাইন।
ঙ্গের জনসাধারণের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সুযােগকে গ্রহণ করে যথার্থ বিপ্লবী পার্টির অনগ্রসরতার অবকাশকে গ্রহণ করে মুজিবর ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে বস্তুত জিন্নার পথই অনুসরণ করেছে। জিন্না সাহেব ভারতীয় মুসলমানদের আপেক্ষিক দারিদ্র ও হিন্দু উৎপীড়নের সুযােগ নিয়ে ইসলামের নামে সাম্রাজ্যবাদের অনুচর পুঁজিপতি ও সামন্ততন্ত্রকে গদিতে বসিয়েছিল। মুজিবর সাহেবও বাঙালি জনসাধারণের অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযােগ নিয়ে আসলে বাঙালি বণিক ও মুৎসুদ্দিদের শােষণের আসনে বসাতে চেয়েছিল।
শ্রমিক শ্রেণীর আন্তর্জাতিকতাই সুস্থ জাতীয়বাদী বিকাশের একমাত্র গ্যারান্টি-লেনিনের এ উক্তিকে মনে রেখে পূর্ববঙ্গে শােষিত মানুষের বিরুদ্ধে মুজিবর-ভাসানী প্রতিবিপ্লবী এবং ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানের সাম্রাজ্যবাদী দালালকে একসঙ্গে উৎখাত করাই শােষিত জনসাধারণের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যবস্তু হওয়া প্রয়ােজন। মুজিবর সম্পর্কে শফিকুল সাহেবের কোনাে অন্ধকার নেই। কিন্তু পঁচিশে মার্চের পরবর্তী ভাসানীর ভূমিকা নিয়ে শফিকুল বিভ্রান্ত। ভাসানী সাহেব মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অনুচর ও রুশ সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের বশংবদ ভৃত্য ইন্দিরা সরকারকে পূর্ববঙ্গের শােষিত জনসাধারণের মুক্তিযুদ্ধের সহায়ক ঠাউরে নিয়ে অস্ত্রসাহায্যের জন্য তার নিকট ধর্ণা দিয়েছে। একদিকে ভিয়েতনামের মুক্তিযােদ্ধাদের রক্তে রাঙা নিক্সনের হাতকে মর্দন করতে চেয়েছে, অন্যদিকে পৃথিবীর শােষিত জনসাধারণের মহান নেতা চেয়ারম্যান মাও-এর নিকট সাহায্য চেয়েছে। ভাসানী সাহেব শ্ৰেণী রাজনীতিকে প্রতিবিপ্লবীদের পায়ে বিকিয়ে দিতে চেয়েছে। মুজিবর-ভাসানী ছাড়া যে কয়টি কমিউনিস্ট গ্রুপ পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের মােকাবেলা করছেন, তাদের নিকট পূর্ববঙ্গের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের আন্তর্জাতিক লাইন সুস্পষ্ট নয় অন্তত শফিকুল হাসানের তথ্য থেকেই তা জানা গেল।
অনেক তত্ত্ববাগীশ চীনের কুওমিনটা কমিউনিস্ট জাপবিরােধী যুক্তফ্রন্টকে পূর্ববঙ্গের সমসাময়িক অবস্থায় মুজিবর ভাসানী কমিউনিস্ট যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এ ধরনের যান্ত্রিক তুলনা তত্ত্ববাগীশদের বেয়াকুব বুদ্ধিরই পরিচয় দেয়। ঐ সময় চীনের অবস্থা কী ছিল? আন্তর্জাতিক স্তরে তখন মুখ্য শ্রেণী শত্রু ফ্যাসিবাদ, যে ফ্যাসিবাদ প্রতিদ্বন্দ্বী ইংরেজ ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল নামেমাত্র, আসলে তার লক্ষ্যবস্তু ছিল তৎকালীন সর্বহারা রাজনীতির প্রধান কেন্দ্র সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলাে যতই সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার ধ্বংস কামনা করুক না কেন বিশেষ পরিস্থিতি চার্চিল ও রুজভেল্টকে বাধ্য করেছিল কমরেড স্টালিনের সঙ্গে বসতে এবং আন্তর্জাতিক ফ্যাসিবিরােধী যুক্তফ্রন্টের অন্তত নিষ্ক্রিয় (নিউট্রালাইজড) অংশীদার হতে। জাপ ফ্যাসিবাদের আসল শত্রু চীনের অভ্যন্তরে ছিল কমিউনিস্টরা, কুওমিনটাংরা নয়, তবুও আন্তর্জাতিক যুক্তফ্রন্টের লাইন অনুযায়ী মার্কিন পুঁজিবাদের কেনা গােলাম কুওমিনটাং কমিউনিস্টদের সঙ্গে যুক্তফ্রন্টে আসতে বাধ্য হয়েছিল (যদিও যুক্তফ্রন্টের মধ্যেই চিয়াং কাইশেক কমিউনিস্টদের হত্যা করার, বিভিন্ন কমিউনিস্ট ঘাঁটি অঞ্চলকে জাপ ফ্যাসিবাদের সেনাবাহিনীর নিকট চিনিয়ে দেবার ভূমিকা নিয়েছিল)।
বর্তমানে মুজিবর-ভাসানী কোনাে আন্তর্জাতিকতা অনুসরণ করছে? শ্রেমিক শ্রেণীর বৈপ্লবিক আন্তর্জাতিকতা যার বর্তমান আন্দোলন কেন্দ্র লালচীন- না সংশােধনবাদ সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের রুশ আন্তর্জাতিকতা- না মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আন্তর্জাতিকতা? জাতীয় ক্ষেত্রে বর্তমান ইয়াহিয়া খানই বা কোন আন্তর্জাতিকতার অনুসারী?
শফিকুল সাহেব এ প্রশ্নগুলাের জবাব যদি খুঁজে পেতে চেষ্টা করেন, তাহলে দেখতে পাবেন পূর্ববঙ্গের জনসাধারণের নিকট মাত্র দুটো বিকল্প একটা হলাে শ্রেণী সংগ্রামবিহীন বাঙালি জাতীয়তাবাদের আড়ালে মুজিবর ভাসানীর প্রতিবিপ্লব- যে প্রতিবিপ্লব ইয়াহিয়া খানের প্রতিবিপ্লবেরই একটি বাঙালি সংস্করণ এবং যার মূল শত্ৰু ইয়াহিয়ার প্রতিবিপ্লবেরই মূল শক্ত অর্থাৎ বাংলাদেশের শােষিত চাষি-মজুর মধ্যবিত্তের বৈপ্লবিক শ্রেণী সংগ্রাম আর অন্যটি হলাে শ্ৰেণীসংগ্রামের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী বৈপ্লবিক জনযুদ্ধের পথ।
কোন বিকল্প পূর্ববঙ্গের জনসাধারণের গ্রহণ করা উচিত এবং করলে আবদুল মতিন গ্রুপ বা দেবেন শিকদার গ্রুপকে কেন পূর্ব পাকিস্তান সি পি (এম এল)-এর বর্তমান রাস্তায় আসতে হবে- তা নিশ্চয়ই শফিকুল হাসান বুঝতে পারবেন, কারণ তিনি মার্কাবাদী এবং আন্তর্জাতিকতার বিপ্লবী লাইনে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছেন।
এ পটভূমিকায় পূর্ববঙ্গের বৈপ্লবিক রাজনীতিতে মহম্মদ তােহার সঙ্গে ভাসানীর সংঘর্ষ অনিবার্য এবং প্রয়ােজনীয়। শফিকুল সাহেব তােহার বিরুদ্ধে যে সকল তথ্য সরবরাহ করেছেন, তা কতদূর সত্য জানি না, তবে দুটো তথ্য কেমন গােলমেলে প্রকৃতির। একটা হলাে- পূর্ব পাকিস্তান সি পি (এম এল)-এর গেরিলা স্কোয়াডই শ্রেণীসংগ্রামের উচ্চতর পর্যায় হিসেবে সুদখাের, জোতদার মহাজনদের খতম করছেন বলে জানতাম, অথচ শফিকুল বলছেন— এ কাজ করছে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি। আরেকটা হলাে- শফিকুল সাহেবের মতে মহম্মদ তােহা ন্যাপ-সম্পাদক থাকাকালীন অবস্থায় নাকি আয়ুব খার শাসনকে প্রগতিশীল বলেছিলেন যেহেতু আয়ুব খাঁর সঙ্গে লালচীনের রাষ্ট্রীয় আঁতাত ছিল। কিন্তু ভাসানী বরাবরই আয়ুববিরােধী ছিলেন বলে তােহার সঙ্গে তাঁর মনান্তর ঘটেছিল। আমাদের খবর তােহা-ভাসানীর পার্থক্য আয়ুব খাঁর চরিত্র চিত্রণ নিয়ে নয়, শ্রেণী সংগ্রামের রূপরেখা নিয়ে এবং আন্তর্জাতিকতার লাইন নিয়ে। তৃতীয় ব্যাপার হলাে শফিকুল খবর দিচ্ছেন ভাসানী সাহেব নাকি সন্তোষে কৃষক সম্মেলনে মার্কিন সি আই এর চীন বিরােধী ষড়যন্ত্রের একটা দলিল হাজির করতে চেয়েছিলেন, ঐ দলিলে না কি আসাম ও দুই বাংলা নিয়ে একটি সি আই এ নিয়ন্ত্রিত পুতুল সরকার গঠনের প্ল্যান ছিল। ঐ দলিল প্রকাশে নাকি পূর্ব পাকিস্তান সি পি (এম এল) নেতা মহম্মদ তােহা শুধুই অনিচ্ছুক ছিলেন এমন নয়, দলিলটা চেপে দিলেন।
পশ্চিমবঙ্গেও বিপ্লবী’ সি পি এম চারু মজুমদারকে সি আই এর লােক বলে প্রচার করতে শুরু করেছিল, আর নকশালরা নাকি সব নব কংগ্রেসেরই গুণ্ডাবাহিনী (যারা হাজারেরও অধিক নব কংগ্রেসেরই সরকারের পুলিশ মিলিটারির হাতে প্রাণ দেয়?) সি পি এম-এর সংশােধনবাদীদের নিধনকাজে লিপ্ত। এসব প্রচার পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের মনে দাগ কাটবে কি না ভবিষ্যতই তার সাক্ষ্য দেবে।
সূত্র: দর্পণ
১৮.০৬.১৯৭১