সেদিন ধর্ম বাঁধা হয়নি। ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল স্টুডেন্ট, সাধারণ ভলান্টিয়ার – সবাই হিন্দু। সবাই এখানে এসে হাজির শরনার্থীদের চিকিৎসা দেবার জন্য। সাথে ওষুধ, ইনজেকশন সবই নিয়ে এসেছে। নিজেদের জমানো টাকা, সাধারণ মানুষের সাহায্য সব নিয়ে এসেছে এখানে। অপরদিকে “ইসলাম গেল ইসলাম গেল” বলে মানুষ খুন, লুট, ধর্ষন করেছে রাজাকার আলবদর আর পাকিস্তান আর্মি। তবে হ্যাঁ, বিনা স্বার্থে কেউ কিছু করেনা। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে অনেকেই আমাদের শুনিয়ে দেয় এই কথা। মানছি যে পাকিস্তান ভাঙা তাদের উদ্দেশ্য ছিলো। প্রশ্ন হল, ভারত আপনার জন্য বিনা স্বার্থে করবে এই দাবী করেন কোন অধিকারে? ভারত আমাদের কী লাগে? তখন কি আপনারা সবাই বোকা ছিলেন? ভারতের চালাকি তখন বোঝেন নাই? বুঝে শুনে রাজাকার হয়েছেন। অথবা বুঝে শুনে সীমান্ত পেরিয়ে অস্ত্র নিয়েছেন, ট্রেনিং নিয়েছেন, চিকিৎসা নিয়েছেন, তিন বেলা খাবার খেয়েছেন। অস্ত্র কে দিত? আকাশ থেকে পড়ত? ভারতের কূটনীতি ছাড়া একাত্তরের বাংলাদেশের বন্ধুদেশ কয়টা? মোট সেনাবাহিনীর ৪% ছিলো বাঙ্গালি, সচিব পদে একজনও ছিলোনা। দুই পাকিস্তান মিলে ৬০% আয় আমরা করলেও বরাদ্দ দিত ৪০%। আসলে আপনারা সারাজীবন পাকিস্তান থাকতে চেয়েছেন। উপকার করেও আজীবন গালি খাচ্ছে ভারত। তবে, এতে কি ভারতের কিছু যায় আসে? রাজাকারদের বংশধরদের আরও সুযোগ হয়েছে ভারতের সাম্প্রতিক কাণ্ড দিয়ে। ভারত ভারতের বেনিফিট একাত্তরে দেখেছে, এখনো দেখছে। সেটাই তো হওয়া উচিৎ। নিজ দেশের ভালোর জন্য সব দেশের তাই করার কথা। আমরা আমাদের ভালোটা যেমন একাত্তরে বুঝেছি, এখন বুঝে নিলেই তো হয়। তাই বলে একাত্তরের অবদানকে খাটো করা কেন?