১৯ জুলাই ১৯৭১ এ.এন.এম. ইউসুফ (মৌলভি বাজার )
পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এ.এন.এম. ইউসুফ নারায়ণগঞ্জে শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের কর্মতৎপরতা দেখতে যান। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে রাজাকাররা দুষ্কৃতকারী (মুক্তিযোদ্ধা) দমনের জন্য কঠিন পরিশ্রম করছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ট্রেনিং নিচ্ছে।
ভাসানির শেষ দালালী
এই যাত্রায় সবাই বুজেছিল উনার সময় শেষ। সামরিক আইনে রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু উনার দল বা উনার পরিবারের জন্য নিষিদ্ধ ছিল না। শেষ বেলায় উনাকে দিয়া একটি মুরিদ সম্মেলন করানো হয়েছিল সন্তোষে শুধু আওয়ামী লীগের বদনাম করানোর জন্য। তার ছেলেকে দিয়া প্রেস কনফারেন্স করানো হইল। বিচারপতি সায়েম কাগজে কলমে প্রেসিডেন্ট হলেও নির্বাহী প্রধান জিয়া। বিদেশ সফরের প্রটোকল তাই বলে। মারা যাওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি হাসপাতাল থেকে বিবৃতি দিলেন এখন নির্বাচনের পরিবেশ নাই। নির্বাচন স্থগিত করা হোক। মওলানার বিবৃতি কিনা প্রশ্ন ছিল কারন তার মৃত্যুর সাথে সাথেই তার দল ছায়া বি এন পি হিসাবে কাজ করা শুরু করে। বাকশালের পর রাজনীতি থেকে অবসর নেয়া এই নেতার ৭৬ সালে হটাত জেগে উঠা ছিল রহস্যজনক। জিয়া অবশ্য দালালীর পুরস্কার দিয়াছিলেন। তার জানাজা দাফনে সরকারের ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা ছিল।