মতিউর রহমান, বীর প্রতীক
বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানোয়া সরকার বাড়িতে (পো: ধানোয়া কামালপুর) আমার জন্য, বকশীগঞ্জ উপজেলা বর্তমানে জামালপুর (প্রাক্তন ময়মনসিংহ) জেলার অন্তর্গত। জৈষ্ঠ্য মাসের কোনো এক শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় আমার জন্য, বর্তমানে (২০১১) আমার বয়স ৫৮ বছর। আমার পিতা মরহুম তসলিম উদ্দিন সরকার গৃহস্থালী-কৃষিকাজ করতেন। তিনি ১৯৭৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মাতা গৃহিণী ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আমরা চার ভাই এক বোন। এদের মধ্যে আমার স্থান তৃতীয়। আমি কামালপুর বিদ্যালয়ে ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়াশুনা করি। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে বাবার কাজে সাহায্য করতাম। আমি কখনোই কোনো দলের সদস্য ছিলাম না। চাচাত, জেঠাত ভাই মিলে আমরা ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। আমাদের গ্রামের প্রায় ৩০/৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিল। একাত্তরের এপ্রিল মাসের ৭ তারিখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ থানার ইউথ ক্যামে প্রায় মাসখানেক প্রাথমিক ট্রেনিং নেই। তারপর তুরাতে ২৮ দিনের উচ্চতর ট্রেনিং নেই। গেরিলা ট্রেনিং নেই কিন্তু পরে সম্মুখ সমরেও যুদ্ধ করতে হয়েছে। ইউথ ক্যাম্পে হাবিলদার ধন বাহাদুর (ভারতীয়) আর সুবেদার তোরাব আলী (বাংলাদেশী) ওস্তাদরা রাইফেল, গ্রেনেড ইত্যাদি চালনা শিক্ষা দিতেন। ইউথ ক্যাম্পের চার্জে ছিলেন বাংলাদেশী ক্যাপ্টেন মান্নান আর ভারতীয় ক্যাপ্টেন লেগী, তাছাড়া মেজর তাহেরও ট্রেনিং দিতেন। তুরাতে ক্যাপ্টেন বালজিত সিং (শিখ) ছিলেন। সম্পূর্ণ তুরা ক্যাম্পের চার্জে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার সান্ত সিং (ভারতীয়)। এমারত হোসেন পান্না ছিলেন আমার কোম্পানি কমান্ডার। তারপর কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান হেলাল। জুনের প্রথম সপ্তাহে আমরা বাংলাদেশে ঢুকি। আমাদের ১১ নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমাণ্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন মান্নান। তারপর ক্যাপ্টেন আজিজ ও কিছুদিন মেজর আমিন আমাদের কমান্ডার ছিলেন। আমাদের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর তাহের। বাংলাদেশে ঢুকে আমরা প্রথম অপারেশন করি কামালপুরে। চরমপত্রে বলত কম্বলপুর। পাকিস্তান আর্মির (বকশীগঞ্জ) কমাণ্ডার ছিল মেজর আইউব। আমি আলফা কোম্পানিতে ছিলাম।
আমার উল্লেখযোগ্য অপারেশনগুলো হচ্ছে- কামালপুর অপারেশন। মাদ্দা (বকশীগঞ্জ থানা)— এখানে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা মারা যান। অপারেশন কর্ণজোড়া (শ্রীবর্দি থানা)। আণ্ডার চর অপারেশন। কোনো অপারেশনের তারিখ মনে নেই। কয়েকটা অপারেশনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ; ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজের সাথে একটা অপারেশনে ছিলাম। উনি অ্যাটাক পার্টিতে ছিলেন। আমরা কাট আপ পার্টিতে ছিলাম। রাত ১০টা হতে যুদ্ধ শুরু হয় ভোরে খুব বৃষ্টি হচ্ছিল তার ভিতরেও যুদ্ধ চলে। তারপর ভোরেই যুদ্ধ থেমে যায়। পরে বিকালে আবার যুদ্ধ শুরু হয়। সেদিন আমরা জিততে পারিনি। বড় রকমের মার খাই ওখানে। অন্যান্য যুদ্ধে একজন দুইজন মারা যেত কিন্তু এই যুদ্ধে ৩০/৩৫ জন মারা যায়। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনও এখানে শহীদ হন। সেটা ছিল ৩১শে জুলাই দিবাগত রাত অর্থাৎ ১লা আগষ্ট। একদিন ধানোয়া ৩ নম্বর বাংকারে আমরা ছিলাম । ওখানে আমাদের রান্নাঘরের কোনে পাকরা আর্টিলারী শেল মারে। আমরা পজিশনে যাই। সেদিন যুদ্ধে ৩০/৪০ জন পাক মারা যায়। একজন আহত পাক হাবিলদারকে আমরা ধরেও নিয়ে আসি। পরে সে মারা যায়। মাদ্দা ঘাসিরপাড়ায় যুদ্ধে আমাদের ২জন মারা যায়। এক জনের নাম হুমায়ুন । আরেক জনের নাম মনে নেই। ব্ৰহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর সংগমস্থলে আন্ডারচর (প্রাক্তন দেওয়ানগঞ্জ থানা) অবস্থিত। ভোর ৪টার দিকে আন্ডারচরে আমাদের অবস্থানের উপর পাকিরা আক্রমণ চালায়। ওরা স্পীড বোটে করে এসেছিল। যুদ্ধ সকাল ১১টা সাড়ে ১১টার দিকে শেষ হয়। এই যুদ্ধে আমাদের জয় হয়। পাকিস্তানি আর্মির প্রচুর ক্ষতি হয়। ওদের কয়েকজন মারা যায় এ যুদ্ধে। পাকিরা আমাদের পুরো ধানোয়া গ্রামটা পুড়িয়ে দেয়। সবাই খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লালমাটি ছাড়া আর কিছুই ছিল না। কর্ণজোড়াতে আমাদের হেড অফিস ছিল। সেখানে দালাল ছিল তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জেডআর আলী। সে আর্মি নিয়ে আমাদের ঘেরাও করে। পাকিদের সঙ্গে প্রচুর গেলাগুলি হয়। ওখানে থেকে ৩ দিন পর পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বের হয়ে আসি। আমাদের পক্ষে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি— কেউ নিহত বা আহত হয়নি তবে কষ্ট পেয়েছিলাম। এখানে ৬ জন দালাল ধরা হয়। তবে ঐ চেয়ারম্যান ধরা পড়েনি। বাট্টাজোড় যুদ্ধে আমার বন্ধু তাহের, মোজাম্মেল, সামাদ গুলি খায়। তখন আমি ভোটান কোম্পানির চার্জে ছিলাম। ওরা কমান্ডার পান্নার আন্ডারে ছিল। একটা কোম্পানিতে ১৫০-২০০ জন থাকত। কামালপুরের পূর্বদিকে মৃধাপাড়া গ্রামের মাঝখানে সিএন্ডবি রোডের উপর একটা ব্রীজ ছিল। পাকিস্তানি ক্যাম্প হতে আমরা ১০০/১৫০ গজ দূরে ছিলাম। যুদ্ধ চলছিল। আমরা অ্যাডভান্স করে আসছিলাম। এমন সময় ২ জন পাক আর্মিকে দেখে বললাম। স্যার (মেজর তাহের) আমরা ফায়ার করি? উনি বললেন যে, না আমি মৃত চাইনা জিন্দা চাই। তারপর ১০/১৫ গজ অ্যাডভান্স করার পর তার পায়ের উপর শেল পড়ে। উনি আমার ৩/৪ গজ দূরে ছিলেন— উনি আগে ছিলেন। আমি শেলের আওয়াজ শুনেই পড়ে
যাই তাই অক্ষত ছিলাম। উনাকে নিয়ে আমরা তখন ব্যাক করি। ইণ্ডিয়ান অ্যাম্বুলেন্স ছিল বালুগ্রামে (বাংলাদেশ)। তাকে ওটাতে তুলে মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেই। তার ছোট ভাই বেলাল, আমি এবং আরও অনেকেই ওখানে ছিলাম। বেলাল, মেজর তাহেরের হাতে ওয়ারলেস ছিল। উনার পায়ে প্রিন্টার লাগে দিনের বেলায়। আমি ২৯শে নভেম্বর রাত ১১টা ৫ মিনিটে গুলি খাই। আমরা অ্যাটাক পার্টি ছিলাম। আমাদের ১০টা কোম্পানি ছিল। কামালপুর ক্যাম্পকে চতুপাশ থেকে ঘেরাও করে চতুর্দিক থেকে ‘জয় বাংলা’ বলে শ্লোগান দিয়ে ওদের সারেন্ডার করতে বলি। ওরা চুপচাপ। তারপর আমরা চতুর্দিক ঘেরাও ক্লোজ করতে করতে কাছে আসছি এমন সময় ওরা বৃষ্টির মতো গুলি শুরু করে। কোনো শব্দ শোনা যাচ্ছিল না। ইপিআর ক্যাম্পের সামনে (ইউনিয়ন পরিষদের সামনে) বাজারে একটা বড় বটগাছ ছিল। আমার ১০/১৫ গজ সামনে দিয়ে দুজন পাক আমি যাচ্ছিল। আমি আমার হাতের স্টেনগান (SMC) দিয়ে বার্ট করি। আমার কখন গুলি লাগে টের পাইনি। কে কোথা দিয়ে গুলি করছিল তাও দেখিনি। আমি তখনো গুলি চালাচ্ছি। হঠাৎ ইন্ডিয়ান হাবিলদার বলে উঠেন, রহমানকো যাদা চোট লাগা।’ ইন্ডিয়ান ক্যাপ্টেন বলে উঠল, উসকো আন্দারম ভেজ দো”। আমার থাই এর দিকে তাকিয়ে রক্ত দেখতে পাই। তারপর সেখানে হাত দিয়ে প্রচুর রক্ত দেখতে পেয়ে পড়ে যাই। আমাকে কাঁধে করে ১০/১৫ গজ দূরে এক ড্রেনে রেখে আসা হয়। ঐ ড্রেনে আমার ১০/১৫ গজ দূরে একজন যোদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখি। আমার ধারণা ছিল সে ইন্ডিয়ান আর্মির সদস্য। ওর সাথে আমার মামা মামা’ বলে কথা হয়। আমরা ও ইন্ডিয়ান আর্মি পরস্পরকে ‘মামা’ বলতাম। ও আমাকে বলছিল, “মেরা যাদা চোট লাগ গিয়া ইধার আও। আমিও ওকে একই কথা বললাম, ‘মেরা যাদা চোট লাগা ইধার— হঠাৎ ও বলে উঠল ‘ইয়া আলী’ বুঝলাম যে লোকটা পাক আর্মি তারপর আমি চুপ হয়ে গেলাম ও আস্তে আস্তে ক্রলিং করে ব্যাক করে সিএন্ডবি রোডে উঠলাম। তারপর ধানোয়ার দিকে আস্তে আস্তে যেতে লাগলাম। তারপর এমন জায়গায় আসলাম যেন কামালপুর থেকে গুলি আসলেও মরব না, আবার ধানোয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিও যেন না লাগে। ঐ টাইম থেকেই খুব চীকার করতে থাকি আমাকে নিয়ে যাবার জন্য। ওদের কয়েকজন জিজ্ঞাসা করল আমি কে? সব বলার পরও কেউ বিশ্বাস করল না। আরও কিছু এ্যাডভান্স করলাম। ওদের ডাকলাম। কেউ সাউণ্ডই দিল না। আমি একটা বাঁশের ব্রীজের (ধানোয়ার সামনে ও কামালপুরের পিছনে দুই গ্রামের মাঝামাঝি) পূর্বদিকে ছিলাম। ভােরের দিকে আমাদের ছেলেরা গলার আওয়াজ শুনে আমাকে চিনতে পারে। ওরা স্টেন গনি, গ্রেনেড ইত্যাদি নিয়ে আসছিল তখন ১০/১৫ গজ দূরে থাকতেই বলে উঠলাম, ‘আমাকে মারতে লাগবে না, আমি মতি। আমাকে চিনতে পেরে অস্ত্র ফেলে ওরা উদ্ধার করতে এল। আমাকে উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গেই আমি সেন্সলেস হয়ে যাই। আমাকে তুলে প্রথমে আমাদের বাংকারে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিত্সার জন্য। ওখানে ক্যাপ্টেন মান্নান ছিলেন (ধানোয়ার চার্জে ছিল ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বে কাট অ্যাপ পার্টি)। মহেন্দ্রগঞ্জ থেকে ঐ দিনই তুরাতে (মিলিটারী হসপিটাল) নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে ২/৩ দিন ছিলাম। ওখান হতে আমাকে শিলং আর্মি হসপিটালে নিয়ে যায়। শিলং-এ ১৭/১৮ দিন ছিলাম ।
এই সময় ডাক্তাররা আমার রক্ত পড়া বন্ধ করতে পারেননি। আমি শিলং থাকার সময়ই দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। ১৬ই ডিসেম্বর যখন দেশ স্বাধীন হয় সঙ্গে সঙ্গেই আমরা খবর পাই। ডাক্তার নার্সরা খুব আনন্দ করতে লাগলো- বাংলাদেশ আজাল হে পিয়া। ‘আমার যতটুকু সেন্স ছিল খুবই আনন্দ লাগলো। ডিসেম্বরের ১৭ তারিখে আমাকে গৌহাটি পাঠিয়ে দেয়া হয়। এখানে পায়ের রক্ত পড়া বন্ধ হয়। গৌহাটিতে বেশ কয়েকদিন ছিলাম। এখানে জেনারেল ওসমানী আমাদের দেখতে যান। আমাকে ১০০০ টাকা দেন। কাপড়-চোপড় দেন। পড়ার জন্য বাংলা বই দেন। ডাক্তার নার্সদের ভালোভাবে চিকিৎসা করবার জন্য নির্দেশ দেন। পা কেটে ফেলার জন্য আমাকে গৌহাটি হতে পুনা কম্বাইন্ড মিলিটারী হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমি যেদিন গৌহাটি পৌছি তার ২/৩ দিন আগে মেজর তাহের পুনা চলে যান। আমি পুনাতে পেীছে তার সাক্ষাৎ পাই। একদিন সন্ধ্যায় নাটক দেখার জন্য আমার হুইলচেয়ার একজন হাবিলদার যখন ঠেলে হলরুমে নিয়ে যায় তখন মেজর তাহের গাড়ি হতে ক্রাচে ভর করে নামেন। আমাদের চোখে চোখে পড়ে যায়। আমার চোখ পানিতে ছলছল করে উঠে। তার চোখেও পানি। উনি কামালপুরের খবর জিজ্ঞাসা করলেন। আমাকে সান্ত্বনা দেন, তোরতো পা আছে, কান্দস কেন? তুইতে ডাকাতি বা চুরি করতে যাসনি…” কামালপুরে কে কে আহত বা নিহত হয় তার খোঁজ খবর নেন। এই দিন আর নাটক দেখা হয়নি, যে যার ওয়ার্ডে চলে যাই। মেজর তাহেরের সঙ্গে এরপর প্রায়ই দেখা হত। আমার ইনচার্জে যে মেজর ছিলেন মেজর তাহের তাকে ডেকে বললেন, আমার যা যা দরকার তা যেন দেয়া হয়। টাকার দরকার হলে তার (তাহের) কাছ থেকে নিতে বলেন। পরে তার ভাই ইউসুফ আমাদের দেখতে যান ও টাকা পয়সা দেন। ইন্দিরা গান্ধী আমাদের দেখতে যান। আমাকে একটা এক ব্যাগু Vosh রেডিও দেন। নতুন কোম্পানির নতুন রেডিও। তখন আমি ৮নম্বর ওয়ার্ডে ছিলাম। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার শরণ সিংও আমাদের দেখতে আসেন। উনি প্রত্যেককে একটা করে বড় স্টীলের প্লেট দিয়েছিলেন। এখনও প্লেটটা রাখা আছে। বাড়িতে গেলে মাঝে মাঝে ওটাতে ভাত খাই। এছাড়াও আরো অনেকে দেখতে যান ও টুকটাক জিনিস দেন। তাদের নাম মনে নেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমেদ গিয়েছিলেন। পুনায় মেজর তাহেরের রুমে আমরা সময় কাটাতাম। তিনি অফিসার্স কেবিনে থাকতেন। একদিন আমরা তার রুমে বসে ফলমূল খাচ্ছি এমন সময় একটা চিঠি পড়ে উনি হাসলেন। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে বললেন যে তার প্রমোশন হয়েছে লে. কর্নেল হয়েছেন। তিনি বললেন, এটার দরকার ছিল না। ওসমানী সাহেব চিঠিটা দিয়েছিলেন। বাংলাদেশে ফেরত আসি মে মাসে (৭২)। পুনাতে শেষের দিকে হাঁটতে পারতাম। পুনা থেকে ট্রেনে করে ব্যারাকপুর তারপর কোলকাতা থেকে প্লেনে করে ঢাকা আসি। ঢাকায় আমি ভর্তি হই CMH-এ। সামগ্রিক ভাবে যুদ্ধের জন্য ১৯৭৩ সালে বীর প্রতীক’ উপাধী পাই।