৬ জুলাই ১৯৭১ শান্তিকমিটি
শান্তি ও কল্যাণ পরিষদ সভাপতি মৌলবি ফরিদ আহমেদ সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে পক্ষকাল ব্যাপী মধ্যপ্রাচ্য সফর করে করাচী পৌঁছেছেন।
এদিন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার এটিএম আব্দুল মতিন ( জিয়ার আনুকূল্য লাভ করে ৭৬ সালে লেবার পার্টি গঠন করে তার সভাপতি হিসাবে রাজনীতি শুরু করেন। রাজাকারদের মধ্যে তিনিই সর্ব প্রথম প্রকাশ্য রাজনীতি শুরু করেন) ইয়াহিয়াকে সত্যিকার ‘গণতন্ত্রী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলে যে, পাকিস্তানের অখণ্ডতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রেসিডেন্টের আন্তরিকতায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের চক্রান্তকারী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের সম্পর্কে সচেতন থাকার আহবান জানায় সাবেক জাতীয় পরিষদ সদস্য।
পাকিস্তান উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টির প্রেসিডেন্ট (যুক্তফ্রন্ট এমএলএ, এমএনএ সাবেক NDF,COP, PDM, DAC নেতা মাওলানা আতাহার আলী দেওয়ান কিশোরগঞ্জী। পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় তথাকথিত ‘মুজাহিদ’ বাহিনীতে সকল মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক ও পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী ইসলামপ্রিয় যুবকদের যোগ দেয়া অবশ্য কর্তব্য বলে জানায় মাওলানা আতাহার আলী দেওয়ান।
সাবেক এমপিএ, পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম লীগের (কাইয়ূম) ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং গাইবান্ধা শান্তিকমিটির সেক্রেটারি সাইদুর রহমান আমেরিকা ও ব্রিটিশ সংবাদপত্র ও কংগ্রেস সদস্যদের পাকিস্তান বিরোধী প্রচারণার নিন্দা করেন এবং এর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে কঠোর হবার আহবান জানায়।
সিলেট শান্তিকমিটির নেতা মকবুল আলী চৌধুরী, শাহাবুদ্দিনসহ ৫ সদস্যের একটি দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (PDP) প্রধান নূরুল আমিনের সঙ্গে দেখা করে কর্ম পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করে।