১৫ মার্চ ১৯৭১ঃ আজকের এদিনে
অহিংস আন্দোলনের চতুর্দশ দিন
অহিংস আন্দোলনের চতুর্দশ দিনে সারা বাংলায় অফিস আদালতে পূর্ণ কর্মবিরতি চলে। রাজধানী ঢাকায় দিনব্যাপী সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি ও বেসরকারি ভবনের শীর্ষে এবং যানবাহনে কালো পতাকা উড়ে।
কবি সুফিয়া কামালের সভাপতিত্বে মহিলা পরিষদ তোপখানা রোডে মহিলাদের এক সমাবেশ করে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষুব্দ শিল্পী সমাজ দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে গণসঙ্গীত, পথনাটক পরিবেশন করেন।
খুলনার ছাত্র নেত্রী হাসিনা বানু শিরীন বলেছেন স্বাধিকার আন্দোলনে খুলনার মহিলারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে অংশ নেবে।
সম্মিলিত চিকিৎসক সমাজ মিছিল করে গনি রোড জিন্নাহ এভিনিউ বায়তুল মোকাররম হয়ে তোপখানা রোডে শেষ করে সেখানে সভা করে। সভায় বক্তব্য দেন ডাঃ আশকাত, তৈয়ব আলী , নাজমুন নাহার, সরোয়ার আলী, গাজী আব্দুল হক, মোদাচ্ছের আলী।
অধ্যাপক মুনির চৌধুরী স্বাধিকার আন্দোলনে তার সমর্থন উল্লেখ পূর্বক তার সিতারা ই ইমতিয়াজ খেতাব বর্জন করেন।
দৈনিক পাকিস্তান সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে তার দুটি খেতাব সিতারা ই খিদমত, সিতারা ই ইমতিয়াজ বর্জন করেন। নাটোরের এমএনএ শেখ মোবারক হোসেন তার তমঘা ই পাকিস্তান খেতাব বর্জন করেন।
বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে শেখ মুজিবুর রহমান
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান তার ধানমণ্ডির বাসভবনে বিবিসির সাংবাদিক মাইকেল ক্লেটন এর সাথে সাক্ষাৎকারে দেশের বিভিন্ন স্থানে সামরিক গন হত্যার বিবরন তুলে ধরেন। তিনি বিবিসিকে বলেন তা সত্ত্বেও তিনি সংবিধানের ভিতরে থেকেই একটি সমাধান চান। তিনি সামরিক প্রতিরোধের পথে যাবেন না।
তাজউদ্দিন আহমেদ
আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক সাধারন সম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেছেন বাংলাদেশের জনগনের ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল আন্দোলন এক নয়া পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। শেখ মুজিবুর রহমান যে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করার আহবান জানিয়েছিলেন তাহাতে জনসাধারনের নিরুঙ্কুশ সাড়া পাওয়া গিয়েছে ফলে সকল সরকারী বিভাগ সহ সকল স্তরের লোক এই গন আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করছে এবং বাংলাদেশের জনগনের নামে আমরা যে সব নির্দেশ জারী করছি তা মেনে চলার জন্য সকল শক্তি প্রয়োগ করছেন। আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন সারা বাংলাদেশে যে ঐতিহাসিক গন অভ্যুত্থান হয়েছে তা জনগনের সাথে সার্বিক ত্যাগ শিকারের জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমরা অবশ্যই প্রমান করে দিব যে একটি জাগ্রত জাতি সমাজের মৌলিক প্রয়োজন মিটানোর উদ্দেশে সকল প্রকার দুর্লঙ্ঘ বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে পারে। কোন প্রকার ত্যাগ স্বীকারে পিছপা না হইতে এবং অর্থনৈতিক জীবন যাতে বিপর্যস্ত না হয় তার নিশ্চয়তা দিতে জনগন বদ্ধপরিকর।
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নুরে আলম সিদ্দিকির সভাপতিত্তে বায়তুল মোকাররমে এক সভার আয়োজন করে। সভায় নতুন করে সামরিক আইন জারীর নিন্দা করা হয়। বক্তারা বলেন সামরিক শাসকরা নয় বাংলার সর্বাধিনায়ক শেখ মুজিবুর রহমানই কেবল নির্দেশাবলী জারী করতে পারেন। বাংলার জনগন এই নির্দেশাবলী মেনে নিবেন। বক্তারা অবিলম্বে বাংলাদেশ হতে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্য সরিয়ে নেয়ার জন্য ইয়াহিয়ার প্রতি আহবান জানান। সভায় আসম রব, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, শাহজাহান সিরাজ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে ছাত্র জনতার একটি বিশাল মিছিল জিন্নাহ এভিনিউ, নর্থ সাউথ রোড, কাকরাইল, সার্কিট হাউজ রোড, বেইলি রোড হয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনের পাশ ঘেঁষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে দিয়ে নিউমার্কেট এবং ফিরে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। মিছিলে পথচারীরাও অংশ নেয়। তারা বিভিন্ন প্রকার সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়। মিছিলটি যখন প্রেসিডেন্ট ভবনের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে তখন প্রেসিডেন্ট ভবনে অবস্থান করছিলেন। এ সময়ে সেনাবাহিনী এবং ইপিআর বাহিনীকে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা যায়।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ
লালদীঘি ময়দানে শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক এম এ হান্নান বলেছেন শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের দাবী সমূহই পেশ করেছেন। তিনি বলেন দেশকে পরিস্থিতির বিপজ্জনক অবনতি থেকে বাচাতে ইয়াহিয়ার এখনও সময় আছে। তিনি বলেন স্বাধিকার আন্দোলনে বাঙ্গালীকে এখন আর কেউ বাধা দিতে পারবে না কারন সাত কোটি মানুষসহ ভাসানী, নুরুল আমীন, আতাউর রহমান, সবুর খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এখন শেখ মুজিবের পিছনে ঐক্যবদ্ধ। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন নেতৃবৃন্দের নির্দেশের অবমাননা বাঙ্গালীরা সহ্য করবে না। তিনি অবাঙ্গালীদের স্বাধিকার আন্দোলনে বাঙ্গালীদের সাথে কাজ করার আহবান জানান।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ার ঢাকা মেডিকেলে আহত সংগ্রামীদের দেখতে যান তিনি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে খোজ খবর নেন।
যুক্তরাজ্য আঞ্চলিক আওয়ামী লীগ
উত্তর পশ্চিম যুক্তরাজ্য ও স্কটল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ওয়াজের আলী এবং সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন তথ্যানুসন্ধান বাংলাদেশে সফরে আছেন। তারা গতকাল এক বিবৃতিতে ইয়াহিয়া খানকে শেখ মুজিবের দাবী মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। তারা সকল খেতাবধারীদের তাদের খেতাব বর্জনের আহবান জানান।
ঢাকায় অনেক লন্ডন প্রবাসী আটকা পড়েছেন।
লন্ডন গামী পিআইএ এর টিকেট না পাওয়ায় অনেক প্রবাসী লন্ডন ফিরে যেতে পারছেন না। পিআইএ এদের কোন টিকেটই দিচ্ছে না । প্রবাসীদের বেশীরভাগই বাৎসরিক ছুটিতে ঢাকা এসেছিলেন।
ভুট্টোর বিবৃতির প্রতিবাদ
জমিয়তে উলামা ইসলাম সাধারন সম্পাদক মুফতি মাহমুদ করাচীতে ভুট্টোর করাচীর সাংবাদিক সম্মেলনের বিবৃতির প্রতিবাদ করে বলেন জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল একটিই এবং সেটি হল আওয়ামী লীগ শেখ মুজিব যার নেতা। ভুট্টো নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতার ভাগ চাচ্ছেন যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক।
ভুট্টোর মন্তব্বের প্রতিবাদে করাচীতে স্থানীয় জনগন এবং বাঙ্গালী ছাত্রদের একটি বিক্ষোভ মিছিল নিস্তার পার্কের কাছেই ভুট্টোর গাড়ী আটকিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা ভুট্টোর কাছ থেকে তারা তাদের উপস্থিতিতে সংশোধনী বিবৃতি দাবী করে। ভুট্টো তাদের সময়াভাবে তা করতে পারছেন না বলে বুঝিয়ে সুঝিয়ে চলে যান।
জামাত প্রাদেশিক আমীর গোলাম আজম এক বিবৃতিতে বলেছেন ভুট্টো আসলে এক পাকিস্তান চাহেন না। ভুট্টোর দাবীর প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য তিনি ইয়াহিয়ার প্রতি আহবান জানান।
পিডিপি প্রাদেশিক প্রধান নুরুল আমীন ভুট্টোর প্রস্তাবকে অবাস্তব বলেছেন। একটি পরিষদে দুটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থাকতে পারেনা।
ন্যাপ প্রধান ওয়ালী খান বলেন ৭০ এর জুলাই থেকে এক ইউনিট আর নেই তাই ভুট্টো ৪ প্রদেশের পরিবর্তে পশ্চিম পাকিস্তান প্রদেশ বলতে পারেন না। তাই তার দলের কাছে কেন্দ্রের ক্ষমতার হিস্যা দেয়ার প্রশ্নই আসেনা।
কাউন্সিল মুসলিম লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম ভুট্টোর বিবৃতিকে অবাস্তব বলে বলেন ভুট্টোর উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশকে বিভক্ত করে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া।
ন্যাপ ভাসানি নেতা ও পাকিস্তান বার কাউন্সিল সহসভাপতি আলিম আল রাজী ভুট্টোর দাবীকে হাস্যকর ও অবান্তর বলেছেন। তিনি বলেন একটি পরিষদে একটি দল সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকে।
ইয়াহিয়ার ঢাকা উপস্থিতি
প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান কড়া নিরাপত্তার মধ্যে করাচী থেকে ঢাকায় আসেন। বিমানবন্দরে সামরিক গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান তাঁকে স্বাগত জানান। কোন সাংবাদিক ও বাঙালিকে এ-সময় বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নি। প্রেসিডেন্ট ভবনের আশে পাশে কড়া প্রহরার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশে পাশেই সেনা ইপি আর পুলিশের বিভিন্ন দল মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর পর ভবনের আশে পাশের রাস্তায় গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কোয়ালিশন সরকার গঠন কর — ভুট্টো
পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বিবৃতিতে বলেন পাকিস্তানের দুই অংশের দুরত্তের ব্যবধানের কারনে এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন প্রযোজ্য নয়। দেশ শাসনের ব্যাপারে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে অবশ্যই এই অংশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের ইচ্ছার মূল্য দিতে হবে। আওয়ামী লীগ যদি পিপিপিকে ক্ষমতার ভাগ দেয় পিপিপি সীমান্ত ও বেলুচিস্তানেও অন্যান্য দলকে প্রতিনিধিত্ব প্রদান করবে। তিনি বলেন তিনি ক্ষমতা লিপ্সু নহেন জনগণই তাকে ক্ষমতায় চাচ্ছে।
তিনি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও পিপলস পার্টির সমন্বয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠনের দাবী জানিয়েছেন। তিনি বলেন কেবলমাত্র এ ধরনের একটি ব্যবস্থাই পাকিস্তানের ঐক্য রাখতে পারে। তিনি বলেন পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে বাদ দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করা ঠিক হবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তিনি বিরোধী দলে বসতে চান না কারন এখন থেকে পূর্ব পাকিস্তানীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পশ্চিম পাকিস্তান শাসন করবে।
ক্ষমতার ভাগ দিতে শেখ মুজিব রাজি না হলে কি করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ইহা একটি অবমাননাকর প্রশ্ন। তিনি স্বীকার করেন জানুয়ারী আলোচনায় ক্ষমতার ভাগাভাগি বিষয়টিও আলোচনায় ছিল।
আমি নমশূদ্র নই—ভুট্টো
করাচীর নিস্তার পার্কের জনসভায় শেখ মুজিবের প্রতি রাগত স্বরে চিৎকার করে বলেন আমি নমশূদ্র নই। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান জনাব ভুট্টোর টেলিগ্রামের জবাব প্রদান না করায় তিনি উপরোক্ত ক্ষেদ প্রকাশ করেন। শেখ মুজিবকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন আপনি আমাকে অবহেলা করেন নাই। সমগ্র পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষকে অবহেলা করেছেন। জনগণকে আপনি অবহেলা করতে পারেন না। আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমি নমশূদ্র নই আমার পরামর্শ সমুহ কোন ব্যক্তিগত ছিল না। উহা পশ্চিম পাকিস্তানী জনগনের অনুভুতির বহিঃ প্রকাশ মাত্র।
ঢাকায় ওয়ালী খান
ন্যাপ প্রধান ওয়ালী খান ঢাকায় দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতায় বলেছেন পশ্চিম পাকিস্তানের গনতান্ত্রিক শক্তি পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের ন্যায্য দাবীর পক্ষে আছেন। তিনি বলেন প্রগতিশীল দল হিসেবে ন্যাপ জনগনের আশা আকাংখা, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে থাকবে। সমাবেশে বালুচ ন্যাপ সভাপতি গাউস বক্স বেজেনজো বক্তৃতা দেন।
লাহোরে নুর খানের উপর হামলা
লাহোরে আওয়ামী ফিরিমহাজ দলের এক জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় স্থানীয় অধ্যাপক মুবারক হায়দারের নেতৃত্ব এ পিপিপি এর একটি উগ্রপন্থী অংশ কাউন্সিল মুসলিম লীগ নেতা এয়ার মার্শাল নুর খানের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা নুর খান ও কাউন্সিল মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। হামলায় ৩ জন আহত হয়। নুর খানের গাড়ীতেও তারা হামলা করে। গাড়ীটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নুর খান ৬ দফা সমর্থক।
কালাতের খান মীর আহমেদ খান
কালাতের(সাবেক রাজ্য বেলুচিস্তান) খান মীর আহমেদ খান করাচীতে সাদাই বেলুচ নামে একটি পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন পূর্ব পাকিস্তানে যেয়ে শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানী নেয়াদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন পূর্ব পাকিস্তানীদের শাসনতন্ত্র প্রণয়নে পশ্চিম পাকিস্তানী নেতাদের সাহায্য করা উচিত। তিনি বলেন ২৩ বছর যাবত বাঙ্গালীরা এবং বেলুচ রা শোষিত হয়ে আসছে। বাঙ্গালীরা পাকিস্তান বিরোধী নয় তারা কেবল সেই সকল পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যারা বাঙ্গালীদের দেশ শাসনের অধিকার হতে বঞ্চিত করেছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে দেশ শাসন করার অধিকার শেখ মুজিবের আছে।
করাচীতে মালিক গোলাম জিলানী
সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা এবং পাঞ্জাব পাকিস্তান ফ্রন্ট আহ্বায়ক, (শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আসমা জাহাঙ্গীরের পিতা) মালিক গোলাম জিলানী করাচীতে বলেছেন জুলফিকার আলী ভুট্টোই হচ্ছেন বর্তমান সংকটের মুল কারন। তিনি যদি সত্যিই এর সমাধান চান তাহা হলে ঢাকা যেয়ে তার শেখ মুজিবের সাথে সাক্ষাৎ প্রার্থনা করা উচিত। তিনি বলেন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে কোন সংকট নেই। সংকট কেবল জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে।