চীন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা
১৮ জুলাই ১৯৫৭
ঢাকা
প্রতিনিধিদল পাকিস্তান ও চীনের জনগণের মধ্যে অধিকতর সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা করিতে সক্ষম হইয়াছে। পাকিস্তানের জনগণের ন্যায় চীনের জনসাধারণও শান্তি এবং দেশের উন্নয়নের জন্য উদগ্রীব।
আমার প্রতিনিধিদলই সর্বপ্রথম চীন জাতীয় পার্লামেন্টে পূর্নাঙ্গ অধিবেশনে বক্তৃতা দান করিয়াছে। আমি পার্লামেন্টের সদস্যগণকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানাইয়াছি। এবং তাহারাও ইহা গ্রহণ করিয়াছেন। উভয় রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে সহযোগিতা পারস্পরিক স্বার্থ ও সমঝোতা সম্পর্কে আমি মাও সে তুং এর সহিত আলোচনা করিয়াছি। আমি পূর্বে বলিয়াছি যে, চীনের আদর্শের সহিত হয়ত আমাদের মতবিরোধ থাকিতে পারে কিন্তু ইহার অর্থ এই নয় যে, শিল্পোন্নয়নের জন্য আমরা তাহাদের কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করিব না। পার্টির ডিক্টেটরশিপের জন্যই সেদেশে শিল্পোন্নয়ন সম্ভব হইয়াছে। বাধ্যবাধকতা হিসাবে কিংবা বুঝাইয়া চীনের জনগণের চরিত্র গঠন করা হইয়াছে।
Reference:
দৈনিক আজাদ, ১৯ জুলাই ১৯৫৭
বঙ্গবন্ধুর ভাষণসমগ্র ১৯৪৮-১৯৭৫, সংগ্রামের নোটবুক