পাকিস্তানের জন্মের আগে হিন্দুদের কংগ্রেস-ভাবনা
মহাত্মা গান্ধী কি জয়’ ‘নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কি জয়’ মওলানা আবুল কালাম আজাদ কি জয় জওহরলাল নেহেরু কি জয়’—এসব স্লোগান দিয়ে আমরা শান্ত পল্লীর পথ মুখরিত করে তুলতাম পাকিস্তানের জন্মের আগের বছর, ১৯৪৬ এর সাধারণ নির্বাচনের সময়। নির্বাচন এই ভারি বাংলা শব্দটা তখনাে চালু হয়নি; শিক্ষিত লােকেরা বলতাে ইলেকশান’ আর বেশির ভাগ মানুষের কাছে এর নাম ভােটাভুটি’। এই ‘ভােটাভুটিতে হিন্দু-মুসলমানের এক সঙ্গে যােগ দেয়ার কোন ব্যবস্থা ছিল না। বিধান ছিল : হিন্দুরা দেবে হিন্দু প্রার্থীকে ভােট, মুসলমানরা মুসলমানকে। এই স্বতন্ত্র নির্বাচন পদ্ধতিতে হিন্দুদেরও ভােট ছিল দু’ভাগে বিভক্ত—বর্ণ হিন্দু আর তফসিলি হিন্দু। ব্রাহ্মণ-কায়স্থ-বৈদ্য ও নবশাখ সম্প্রদায়ের মানুষ, এবং এ-রকম আর যারা নিজেদের ভদ্রলােক’ মনে করতাে, তারাই হলাে বর্ণ হিন্দু। আর তফসিলী হিন্দু হলাে তারা, যাদের ছোঁয়া লাগলে বর্ণ হিন্দুদের জাত যায়। ধােপা, মালী, নমশূদ্র, পাটনী, জেলে মুচি, ডােম, বাগদী—এ রকম সব শূদ্র আর অন্ত্যজ-নামে-পরিচিত মানুষরা, যারা সমাজে সব দিক দিয়েই পিছিয়ে-পড়ার দলে, তারাই বিশেষ তফসিলভুক্ত (অর্থাৎ তালিকাভুক্ত) হয়ে তফসিলি হিন্দু নাম পায়। তবে বাংলা বা ফারসি তফসিলি’র চেয়ে ইংরেজি ‘সিডিউলড কাস্ট’ (Scheduled Caste) কথাটাই বেশি চালু ছিল। কাস্ট হিন্দু আর সিডিউলড কাস্ট হিন্দু নির্বাচনে এই দুই গােষ্ঠীর মানুষের আলাদা আলাদা প্রতিনিধি পাঠাবার ব্যবস্থা ছিল সেসময়কার নির্বাচন-পদ্ধতিতে। তফসিলি ফেডারেশন’ নামে একটি সংগঠনও ছিল সিডিউলড কাস্ট হিন্দুদের। কিন্তু বর্ণ হিন্দুই হােক আর তফসিলি হিন্দুই হােক, হিন্দুদের রাজনীতিতে তখন কংগ্রেস দলেরই জয়জয়কার। অন্তত আমাদের এলাকায় তাে তাই দেখেছি।
রামপুর বাজারে এসে কংগ্রেস নেতারা বক্তৃতা করেছেন। মাঝারি স্তরের মহকুমা পর্যায়ের নেতা। সে-নেতাদের কারাে নাম আমার মনে নেই। শুধু মনে আছে, তাদের মাথায় থাকতাে ‘গান্ধী টুপি। এই টুপিটা আমার খুবই কৌতূহলের বস্তু হয়ে উঠেছিল। মুসলমান মৌলবী সাহেবরা টুপি পরেন দেখেছি, তবে তাঁদের টুপির আকৃতি গােল। গান্ধী টুপির লম্বাকৃতিটাই মৌলবীদের টুপি থেকে তাকে পৃথক করেছে। শুধু মৌলবীদের থেকেই বা বলি কেন, গান্ধী টুপি তাে সকল মুসলমানের থেকেই হিন্দুদের পার্থক্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ছেচল্লিশ সনের আগে তাে গ্রামে কোনাে টুপিওয়ালা হিন্দু দেখেছি বলে মনে পড়ে না। এবার হিন্দুর মাথায় টুপি উঠলাে, তবে সে টুপিতেও হিন্দুত্বের চিহ্ন স্পষ্ট করে আঁকা।
কংগ্রেস নেতারা অবশ্য হিন্দুত্বের কথা বলতেন না। মুসলমান-বিরােধী কোনাে কথাও তাঁদের মুখে শুনিনি। মহাত্মাজী নেতাজী পণ্ডিতজী সকলেই যে হিন্দু-মুসলমান সকলের নেতা, মুসলমান যাকে আল্লাহ্ আর হিন্দু ভগবান বলে যাকে তার চোখে সকলেই যে সমান, হিন্দু আর মুসলমান যে একই মায়ের পেটের দুই ভাইয়ের মতাে, সাত-সমুদ্র তেরাে নদীর ওপার থেকে আসা ইংরেজরা যে এদেশের হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান সকলের সমান দুশমন—এসব কথাই কংগ্রেস নেতারা সভায় জোর দিয়ে বলতেন। কংগ্রেসের চোখে যে হিন্দু-মুসলমানে কোন ভেদ নেই, সে-কথাটা বােঝাবার জন্যই তারা বারবার মওলানা আবুল কালাম আজাদের প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেন। মওলানা আবুল কালাম আজাদ এতাে বড়াে একজন মুসলিম শাস্ত্রবিদ পণ্ডিত, তিনি হলেন কংগ্রেসের সভাপতি—মূল নেতা। এরকম একজন শ্রদ্ধেয় মুসলমান যেদলের নেতা, সে-দল কি কেবল হিন্দুদের দল হতে পারে?
তবে, কংগ্রেসের নেতারা যাই বলুন, আমার কিন্তু সেই ১৯৪৬ সালে—যখন আমার বয়স মাত্র দশ এবং আমি রামপুর ফ্রি বাের্ড প্রাইমারি স্কুলের ক্লাস ফোরের ছাত্র মনে হয়েছিল যে, কংগ্রেস কেবল হিন্দুদেরই পার্টি। কারণ, কংগ্রেসের সভাগুলােতে কোনাে মুসলমানকে দেখেছি বলে মনেই পড়ে না। সভার শেষে নির্বাচনী মিছিলে যারা যােগ দিতাে, তারাও সবাই হিন্দু যুবক। রামপুরের কামিনী চক্রবর্তীর ছেলে জীবন, মহেন্দ্র চৌধুরীর ছেলে ফণি ও রণি এবং বুধপাশা, নন্দীগ্রাম ও আশুজিয়া গ্রামের এ-রকম বেশ কিছু হিন্দু যুবক কংগ্রেসের এসব মিছিল সংগঠিত করতাে, আর রামপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের ক্লাস থ্রি-ফোরের ছাত্র অনিল, সুশীল, ননীগােপাল, প্রাণেশরা চিৎকার করে স্লোগান ধরতাে। এ-ব্যাপারে আমার তাে ছিল সীমাহীন উৎসাহ। কিন্তু আমারই অন্তরঙ্গ সহপাঠী হােসেন আলী কোনােদিন কংগ্রেসের সভাতেও যায়নি, মিছিলেও যায়নি। যায়নি গফুর, হামিদ, হাশিমউদ্দিন, চান মিয়া, সুরুজ আলী, রশিদ—এ রকম কেউই। তাহলে কংগ্রেসকে হিন্দুদের পার্টি ছাড়া আর কী বলি?
আসলে কংগ্রেসের কথাই বলি বা অন্য যে কোনাে রাজনৈতিক দলের কথাই বলি, গৈ গেরামের মানুষের কাছে এ-সবের কথা তাে ইলেকশনকে কেন্দ্র করেই পৌছেছিল। ইলেকশন হচ্ছিল হিন্দু মুসলমানের আলাদা আলাদা। হিন্দুদের থেকে আলাদা হয়ে খাস করে মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার কথা বলে মুসলিম লীগ মাঠে নেমেছে। মুসলিম লীগের ক্যান্ডিডেট গেছে মুসলমানের কাছে ভােট চাইতে, কংগ্রেস ক্যান্ডিডেট গেছে হিন্দুর কাছে। আমার মতাে দশ বছরের ছেলের ভােট না থাকলেও, আমিতাে হিন্দু; আমার বাপ-ঠাকুরদা ভােট দেবেন কংগ্রেসকে, কংগ্রেসের কথা তাদের মুখে মুখে, তাঁদের সঙ্গে আমিও কংগ্রেসের সভায় যাই। আমার বয়স অল্প বলে আমার উৎসাহ তাে তাদের থেকে বেশি হবেই। দৌড় ঝাপ খেলাধুলা করতে গুরুজনরা আমাকে সব সময় নিরুৎসাহিত করলেও সভা-মিছিলের ব্যাপারে করতেন তার উল্টোটা। সেই ছেলেবেলায় সভা আর মিছিল আমার কাছে খেলাধুলার বিকল্প হয়ে দেখা দিয়েছিল, এবং সে-বিকল্প ছিল খেলাধুলার চেয়ে অনেক বেশি উদ্দীপক ও আনন্দদায়ক। বেশ মনে আছে, ছেচল্লিশের ইলেকশনের আগে ও পরে কয়েকটা মাস এক নতুন ধরনের আনন্দে একেবারে টৈ টুম্বুর হয়ে ছিলাম। কংগ্রেসের স্লোগানগুলাে তাে আমার কাছে গানের চেয়েও বেশি চিত্তরঞ্জক হয়ে উঠেছিল। গান্ধী, নেহেরু, আজাদ, সুভাষের নামে জয় উচ্চারণ করার পাশাপাশি আর যে স্লোগানগুলাের সঙ্গে আমরা গলা মেলাতাম সেগুলাে হলাে—বন্দেমাতরম, জয়হিন্দু, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হােক এবং ইনকিলাব জিন্দাবাদ। শেষের স্লোগানটা ছিল কম্যুনিস্টদেরও। আসলে এটি নাকি আদিতে ক্যুনিস্টদেরই ছিল, পরে কংগ্রেসীরাও তাকে গলায় তুলে নেয়। জ্ঞানের আলাে’ নামে একটি সাধারণ জ্ঞানের বই আমাদের পাঠ্য ছিল। প্রশ্নোত্তরের ধাচে তাতে লেখা ছিল, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ কথাটার অর্থ কি? উত্তর বিপ্লব দীর্ঘজীবী হউক।’ এতেও আমার কাছে অর্থটা খুবই একটা পরিষ্কার হয়নি। ইনকিলাব’ কিংবা ‘বিপ্লব’ এ দুয়ের কোনােটারই সঠিক তাৎপর্য সে বয়সে আমার চৈতন্যে ধরা পড়েনি। তবু এই স্লোগানটা উচ্চারণ করতে খুব জোশ পেতাম। জয়হিন্দ’ শব্দটা তাে কয়েকমাস ধরে আমাদের সার্বক্ষণিক বুলিতে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। আমরা বালকরা (অবশ্যই হিন্দু বালকরা) পরস্পরকে ‘জয়হিন্দু বলে প্রীতি সম্ভাষণ করতাম। আমাদের শেখানাে হয়েছিল চিঠির শিরােভাগে লিখতে হয় শ্রীশ্রীদুর্গা কিংবা শ্রীশ্রী হরি। এখন দুর্গা ও হরির স্থান দখল করলাে জয়হিন্দু।
আমাদের গাঁয়ের পূর্বদিকে উগরাকান্দা বাজারে চৈত্রমাসে বারুণী মেলা বসতাে। এখনাে হয়তাে বসে। জানি না, এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে সে-মেলার আকর্ষণ কতােখানি। তবে আমি এখনাে, এই বুড়াে বয়সেও, চোখ বুজলেই বারুণীর মেলার উত্তেজনায় আট-দশ বছরের বালকটি হয়ে যাই। একদিনের মেলা, কিন্তু সারা বছর তার আমেজ লেগে থাকতাে আমাদের মনে। মেলায় জিলিপি ভাজা হতাে, কুড়মুড় ভাজা’ আর শােন পাপড়ি বিক্রি হতাে, চিনির তৈরি হাতিঘােড়া ও বিন্নি ধানের খৈ পাওয়া যেতাে, আমাদের মতাে ছেলেদের মুখে সারাক্ষণ টিনের বাঁশী বাজতাে, বেলুন ফাটার ফটাস ফটাস শব্দ হতাে, ছেলেমেয়েরা নাগরদোলায় চড়ে মহানন্দে দোল খেতাে, ছছাট ছােট মেয়েরা আল্লাদী পুতুল কিনতাে, ম্যাজিকওয়ালা ম্যাজিক দেখাতাে, এক আনার টিকেটে লটারী খেলা হতাে—এক দিনের জন্য যেন আমাদের কাছে স্বর্গ নেমে আসতাে। ছেচল্লিশ সালে বারুণীর মেলায় আরেকটা নতুন জিনিস এসে যুক্ত হলাে। গান্ধী, সুভাষ, নেহেরুর ছবিওয়ালা ব্যাজ’। একটা ব্যাজের দাম মাত্র দু’আনা। সুভাষের ছবিওয়ালা ব্যাজই হয়েছিল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বালক-কিশাের-যুবকদের বুকে বুকে শােভা পেতাে এই ব্যাজ। ব্যাজ বুকে লাগিয়ে সবাই যেন নিজেকে ভাবতাে নেতাজী সুভাষচন্দ্র। বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের এক এক জন সৈনিক।
‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’—এই নামটা আমাদের বুকে কী যে রােমাঞ্চ জাগাতাে। আমরা ভাবতাম : আজাদ হিন্দ ফৌজ এই দেশে এসে পৌছলাে বলে, এ ফৌজ আসার সঙ্গে সঙ্গেই ইংরেজরা এদেশ থেকে উধ্বশ্বাসে দৌড়ে পালাবে, আর নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু হবেন এদেশের রাজা! হা গাঁয়ের লােক তা-ই বলতাে, রাজা হবার কথাই বলতাে। সুভাষ বসু রাজা হলে দেশের মানুষের আর কোন দুঃখই থাকবে না। এমনকি সে-সময় বাজারে সুভাষ বসুর ছবিওয়ালা এক হাজার টাকার নােটও বিক্রি হতাে, দাম মাত্র এক আনা। গাঁয়ের লােক দেদারসে এই নােট কেনা শুরু করেছিল। অনেকেই তারা বিশ্বাস করতাে : সুভাষ বসু রাজা হলে এই নােট বাজারে চালু হবে, আজকে এক আনা দিয়ে যে নােট কেনা হলাে সেদিন তার দাম হবে এক হাজার টাকা! যারা এমন কথা বিশ্বাস করতাে তারা নিশ্চয়ই একান্ত সরলপ্রাণ কিছু মানুষ, কিন্তু এমন সরলপ্রাণ মানুষের সংখ্যা একেবারে কম ছিল না। ১৯৪৫ সনে সুভাষ বসু বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান—এ কথা তাে প্রায় কেউই বিশ্বাস করতাে না। তার ব্যক্তিত্বের ওপর এক ধরনের অলৌকিকত্ব আরােপ করে তাঁকে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় বসিয়ে দিয়েই অধিকাংশ মানুষ নির্ভরতা জনিত স্বস্তিলাভ করতে চেয়েছিল। গ্রামীণ হিন্দুদের এই মনস্তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে চালাক ব্যবসায়ীরাও বেশ দু’পয়সা কামিয়ে নিচ্ছিল। নেতাজীর নানা ধরনের রঙিন ছবি তারা বাজারে ছেড়েছিল। একটি ছবির নাম ছিল—’ভারতমাতার উপহার। ভারতমাতার ছবিটি দেবী দুর্গার আদলে আঁকা কিন্তু তার পা শিকলে বাঁধা। সেই ভারতমাতার হাত থেকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র একটি তরবারি গ্রহণ করছেন, এ-তরবারি দিয়েই তিনি শত্রু নিধন করে ভারত মাতার শৃঙ্খল মােচন করবেন। অর্থাৎ সুভাষ বসু রক্তমাংসের মানুষ হলেও আস্তে আস্তে অতিমানুষে পরিণত হয়ে যাচ্ছিলেন। অতিমানুষদের সঙ্গে তাে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে দেবতাদের, আর দেবতাদের সঙ্গে যার সম্পর্ক তিনি তাে দেবতাই হয়ে ওঠেন অনায়াসে। হিন্দুদের মধ্যে এ ভাবেই যুগ যুগ ধরে নতুন নতুন দেবতার সৃষ্টি হয়েছে, এ প্রক্রিয়াতেই সুভাষ বসুও দেবতা বা প্রায়-দেবতা হয়ে উঠেছেন, দেবতা রূপেই পূজা পেয়ে গেছেন। পাকিস্তানের জন্মের মাত্র মাস ছয়েক আগেও, ১৯৪৭ সালের তেইশ জানুয়ারিতে, সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিনে নেত্রকোনা শহরে সুভাষের ছবি সামনে রেখে যে সব অনুষ্ঠান হতে দেখেছি তাতাে প্রায় সুভাষ পূজারই মতাে।
স্লোগানের পাশাপাশি একটি গানও সেদিন আমাদের উৎসাহ ও প্রবল উত্তেজনার খােরাক যুগিয়েছিল। সেটিও সুভাষের কীর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, আজাদ হিন্দ ফৌজের কওমী সঙ্গীত। আমার গলায় সুরের ছিটেফোটা নেই। যে আমাকে বলা যেতে পারে অসুরের মূর্তিমান অবতার, সেই আমিও সেদিন মনের আনন্দে বায়সকণ্ঠে গেয়েছি
কদম কদম বাড়ায়ে যা
খুশি কে গীত গা’য়ে যা
চলাে দিল্লি পুকারকে
কৌমী নিশান সামহাল কে
লাল কিল্পে গাঢ় কে
লঢ়য়ায়ে যা লঢ়য়ায়ে যা।
Reference: পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু-দর্শন – যতীন সরকার