You dont have javascript enabled! Please enable it! ৩০ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ মিরপুরে বেআইনী অস্র উদ্ধার অভিযানে বিহারী সন্ত্রাসীদের হামলায় ব্যাপক হতাহত - সংগ্রামের নোটবুক

৩০ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ মিরপুরে বেআইনী অস্র উদ্ধার অভিযানে বিহারী সন্ত্রাসীদের হামলায় ব্যাপক হতাহত

৩১ জানুয়ারী ছিল বেআইনী আইনী সকল প্রকার অস্র জমা দেয়ার শেষ দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সকল বক্তৃতা বিবৃতিতে অস্র জমাদানের জন্য বার বার জোর তাগিদ দিচ্ছিলেন।
১৯ জানুয়ারী থেকে ২৬ জানুয়ারী পর্যন্ত পুলিশ একক ভাবে মিরপুরে অস্র উদ্ধার অভিযানে নামে তবে তারা ধারনার চাইতে খুব কম অস্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আগের দিন যৌথ টীম মোহাম্মদপুর থেকে বিপুল অস্র ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে। এদিন ছিল মিরপুর অভিযানের দিন।
গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা যায় মিরপুরের উত্তর পশ্চিমের এলাকাগুলির বিশাল অংশই অস্র জমা দেয়নি। এ জন্য এদিন ক্যাপ্টেন হেলাল মোরশেদের নেতৃত্ব ২য় বেঙ্গলের একটি কোম্পানী মিরপুর এলাকায় পুলিশের সাথে যৌথভাবে এ কাজ শুরু করে। তাদের সাথে ভারতীয় একটি কোম্পানীও দেয়া হয়েছিল। অপারেশনের আগে সেখানে অবস্থান নেয়া বিহারী ও পাকিস্তানী সন্ত্রাসীদের মাইক যোগে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। মাঝ রাতে অপারেশন শুরু হলে মিরপুর ১১ নং সেকশনে দালালদের একটি বাহিনী যৌথ বাহিনীর উপর গুলিবর্ষণ করে। বিহারীদের উপর আক্রোশ হতে পারে বিধায় এবং জহির রায়হানের পরিবারের অনুরোধে এদিনের ঘটনার বিষয়ে পত্রিকায় কোন সংবাদ পরিবেশিত হয়নি।
নোটঃ সেদিন শত্রুর অতর্কিত হামলায় সেনাবাহিনীর লে. সেলিম, পুলিশের এএসপি জিয়াউল হক খান লোদী সহ ৩৯ জন শহীদ হন। এ টীমের সাথেই জহির রায়হান ছিলেন এবং সেদিন তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু দু তিন দিন পর জহির রায়হানের নিখোঁজ সংক্রান্ত পত্রিকা সংবাদে বলা হয় জহির রায়হান ২৯ তারিখ থেকে নিখোঁজ। বিস্তারিত আরেকটি পোস্টে।
নোটঃ বলা হয়ে থাকে ৩০ জানুয়ারী মিরপুর মুক্ত দিবস বিষয়টি পুরোপুরি সত্য নহে। মিরপুর ১১ ও ১২ নং সেকশনে আরও একাধিক রেইড হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারী সর্বশেষ রেইড হয় এবং সেদিন শতভাগ নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত হয়।