২৯ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ নয়াদিল্লী থেকে ফিরে ঢাকায় তাজ উদ্দিন আহমেদ
নয়াদিল্লী থেকে ঢাকায় ফিরার পথে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরে অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন বাংলাদেশকে সাহায্য দানে অনেক বন্ধু দেশ সাড়া দিয়েছে। শর্ত অনুকুল থাকলে বাংলাদেশ আন্তজার্তিক অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান থেকেও সাহায্য নেবে যদি কোন প্রাধান্য বিস্তারকারী দেশের হস্তক্ষেপ মুক্ত থাকে। উল্লেখ্য বিশ্বব্যাংক প্রধান বর্তমানে ঢাকা সফরে এসেছেন। মার্চ মাস নাগাদ দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে এমন আশঙ্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন এখনও কেউ অনাহারে মারা যায়নি এবং বাংলাদেশে কেউ অনাহারে মরবে না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজউদ্দীন বলেন রক্তপাতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের স্বীকৃতি দিল কিনা তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ নাই। তিনি বলেন বাংলাদেশ এবং ভারতের নীতি এক থাকায় দু দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী হবে। তাজউদ্দীন কে ব্রিটিশ লেবার পার্টির উপ নেতা কলকাতায় দেয়া বিবৃতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান ব্রিটিশ স্বীকৃতি এখনও আসেনি কিন্তু দেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বন্ধ থাকবে না। কলকাতা থেকে ঢাকা ফিরে বিমানবন্দরে অর্থ মন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন তার নয়াদিল্লী সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশের ৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন তিনি। ৪ দিনের সফরে তিনি ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি ও ঊর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে সফল আলোচনা করেছেন। তার সফর দুই দেশের মৈত্রীর বন্ধনকে আরও জোরালো করবে।