আমিনুল ইসলাম
আমিনুল ইসলাম ছিলেন পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের অ্যাগ্রোনমিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট। চাকরির পাশাপাশি গরিব মানুষকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনি হােমিওপ্যাথির চর্চা করতেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর আমিনুল ইসলাম স্থানীয় নেতাদের সাথে মিলে প্রতিরােধ গড়ে তুলেছিলেন যাতে ঈশ্বরদীতে পাকসেনারা ঢুকতে না পারে। ওই সময় আমিনুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন ছিলেন সন্তানসম্ভবা। আমিনুল তাকে শ্বশুরবাড়ি পাকশীতে রেখে আসেন। তিনি নিজে প্রতিরােধ যুদ্ধে অংশ নেন। এই প্রতিরােধ যুদ্ধের মধ্যেই তিনি পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হন। শহীদ আমিনুল ইসলাম ও রহিমা খাতুনের সংসারে চার ছেলেমেয়ে ছিল। আমিনুল ইসলাম শহীদ হওয়ার সময় তাদের ছােট ছেলের বয়স ছিল তিনদিন। রহিমা খাতুন বহু কষ্টে সন্তানদের বড় করেছেন। নিজের চেষ্টায় লেখাপড়া শেষ করে। ঢাকার লালমাটিয়া মহিলা মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। সরকার শহীদ পরিবার হিসাবে তাদের জন্য একটি বাড়ি বরাদ্দ করেছিল।
সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ- আলী মো. আবু নাঈম , ফাহিমা কানিজ লাভা