You dont have javascript enabled! Please enable it! আবুল খায়ের আমিরুল ইসলাম - সংগ্রামের নোটবুক
আবুল খায়ের আমিরুল ইসলাম
আবুল খায়ের আমিরুল ইসলামের জন্ম ময়মনসিংহ শহরের গুলকিবাড়ি রােডের নিজেদের বাড়িতে। তাঁর বাবা মাে. শমসের আলী এবং মা রাহাতুন নেছা। চার ভাই ও তিন বােনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তার ডাকনাম ছিল ফজলু। ১৯৪৮ সালে ময়মনসিংহের লিটন মেডিকেল স্কুল থেকে এল, এম. এফ. পাসের পর আবুল খায়ের আমিরুল ইসলাম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে যােগ দেন। ১৯৪৮ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট পদে এবং ১৯৭১ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন। ১৯৭১ সালে আমিরুল ইসলাম সেনাবাহিনী থেকে প্রেষণে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে কর্মরত ছিলেন। তাকে পাকিস্তান থেকে বদলি করে চট্টগ্রামে পাঠানাে হয়। তখন তিনি সপরিবারে থাকতেন চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশে শুকতারা’ নামক বাসায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযােদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তা দেন। তাঁর এই ভূমিকার কথা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে পৌছে যায়।  ৪ এপ্রিল ১৯৭১, তার বাসায় পাকিস্তানি সেনারা হামলা চালায়। ওই হামলায় ডা. মেজর আবুল খায়ের আমিরুল ইসলাম, তার শালা ওয়াদুদ এবং তার আরদালি জয়নাল নিহত হন। আশেপাশের আরও অনেকেই পাকবাহিনীর গণহত্যার শিকার হন। নিহতদের সবাইকে শুকতারার পেছনে গণকবর দেওয়া হয়। আমিরুলের শ্যালক ওয়াদুদের স্ত্রী ছিলেন পাকিস্তানি । তিনি তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে পাকিস্তান চলে যান। আমিরুলের অনেক আত্মীয় তখন পাকিস্তানে কর্মরত। উপায় না পেয়ে আমিরুলের স্ত্রী লতিফা ইসলামও তিন মেয়েকে নিয়ে পাকিস্তান চলে। যান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তারা দেশে ফিরে আসেন।

সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ-  আলী মো. আবু নাঈম , ফাহিমা কানিজ লাভা