আবদুল আহাদ
১৯২৩ সালে ২২ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলীতে আবদুল আহাদের জন্ম। তার বাবার নাম সৈয়দুর রহমান। আবদুল আহাদ ১৯৪২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাসে সম্মানসহ বি, এ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আইন কলেজ থেকে ল’ ও ১৯৪৮ সালে কলকাতার। ইনকর্পোরেটেড ল’ সােসাইটি থেকে ‘অ্যাটর্নি অ্যাট ল’ পরীক্ষা পাস করেন। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসায় শুরু করেন আবদুল আহাদ। আহাদ ১৯৫১ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫২ সালে তিনি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীনতম আন্তর্জাতিক ল’ ফার্ম ‘অর ডিগনাম অ্যান্ড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় এর শাখা। স্থাপন করেন। ১৯৬১-‘৬২ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান বণিক সমিতি এবং ১৯৬২-৬৩ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান বণিক সমিতি’র সভাপতি নির্বাচিত হন।
আবদুল আহাদ। ১৯৬৫-৬৬ সালে তিনি ঢাকা ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র বার্ষিক বিশ্ব| সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের বণিক ও মালিকদের পক্ষ থেকে যােগ দেন আবদুল আহাদ। তিনি পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শাখাগুলাের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ােজিত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৯ মে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর গােয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা মতিঝিলের ১৯৫ নম্বর ভবনে অবস্থিত ‘অর ডিগনামে’র অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আটকে রাখা হয়েছিল। এরপর থেকে আবদুল আহাদের আর কোনাে খোঁজ পাওয়া যায়নি। শােনা যায়, আটক রাখার কয়েকদিন পর তাকে হত্যা করা হয়। আবদুল আহাদের মৃত্যুর সঠিক তারিখ জানা যায়নি। আবদুল আহাদের দুই মেয়ে ছিল।
সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ- আলী মো. আবু নাঈম , ফাহিমা কানিজ লাভা