২৮ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ দিল্লীতে তাজ উদ্দিন
অর্থমন্ত্রী তাজ উদ্দিন দিল্লীতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন উন্নয়নশীল দেশের ক্ষতি হয় না এমন শর্তে বাংলাদেশ সাহায্য গ্রহন করবে। এ যুগে কোন দেশই বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে না। সাহায্যের জন্য একটি দেশ আরেকটি দেশের উপর নির্ভর হতে হয়। তবে আমাদের নবজাত রাষ্ট্রের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন বিশ্বব্যাংক প্রধানকে ঢাকায় আমন্ত্রন জানানো হয়নি তিনি ঢাকা আসছেন কিনা তিনি তা জানেন না। তিনি বলেন যে সকল রাষ্ট্র বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে সমর্থন দিয়েছেন তাদের সাহায্যকে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার দেবে। তিনি বলেন বাংলাদেশে ৫ লাখ টন খাদ্য শস্য ঘাটতি আছে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় পরবর্তী ৬ মাসে বাংলাদেশের আরও ৫ লাখ টন খাদ্য শস্য লাগবে তা ইতিমধ্যে আসার পথে আছে। তিনি বলেন কৃষি প্রধান বাংলাদেশে সাবেক পাকিস্তান সরকারের অবহেলার কারনে দেশ খাদ্য ঘাটতিতেই থাকতো। তিনি বলেন এ ঘাটতির পরিমান ২০ লাখ টন। তিনি বলেন পাকিস্তানীরা বাংলাদেশে মুদ্রা পোড়ানোর ফলে মুদ্রাস্ফীতি কমে গেছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এদিন ভারতের প্রেসিডেন্ট গিরির সাথে দেখা করেন। গিরি বলেন অনেক দেশই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিবে। বাংলাদেশের জন্য ভারত যা করেছে তা মানবতার জন্যই করেছে।