You dont have javascript enabled! Please enable it! 1949.05.09 | সরকার পক্ষের হয়ে বন্দী শেখ মুজিবের সাথে দেখা করতে আসলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী | গোয়েন্দা নথিতে বঙ্গবন্ধু 1948-1949 - সংগ্রামের নোটবুক

সরকার পক্ষের হয়ে বন্দী শেখ মুজিবের সাথে দেখা করতে আসলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী

পাকিস্তান গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা যায়, ৯ মে ১৯৪৯ তারিখে চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা করতে আসে। শেখ মুজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে মীমাংসা করবে কিনা সেই ব্যাপারে মৌলভি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানতে চান। শেখ মুজিবুর রহমান বলেন তিনি কারো সাথেই কোন আপোষ করবেন না এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চাইবেন না। ভিসির রুমের বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং ফ্যান নষ্ট করার যে অভিযোগ তাকে দেয়া হয়েছে তিনি তা অস্বীকার করেন। এছাড়া ছাত্রদের দ্বারা ভিসির অপদস্থ হবার ঘটনাও সত্য নয় বলে দাবী করেন।

এছাড়া তিনি বলেন, ছাত্ররা যে হরতাল করছে তাতে কমিউনিস্টদের কোন ইন্ধন নেই। বরং তিনি বলেন, কমিউনিস্টদের হাতে নিম্নশ্রেণীর আন্দোলন যাতে চলে না যায় সেকারণেই তারা কর্মচারিদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন এই ঘটনায় ছাত্রদের কোন দোষ নেই। বরং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অযথা পুলিশ ডেকে ছাত্রদের নাজেহাল করেছে।

ফজলুল কাদের চৌধুরী জানায় যে, যদি এই আন্দোলন আরও চলতে থাকে তাহলে অনেক ছাত্রকে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হতে পারে। অতএব আপোষ করে ফেলাই উত্তম। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে মাফ চাওয়ায় অপমানের কিছু নাই। কারণ সম্পর্কটা অনেকটা পিতা-পুত্রের মত। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ছাত্ররা ক্ষমা চাইবার জন্য প্রস্তুত থাকলেও কিছু মন্ত্রীর কারণে (নাম উল্লেখ করেন নাই) তা হয়নি। অতএব, ছাত্রদের ইজ্জতের কথা বিবেচনা করে তিনি কোন মাফ চাইবেন না। অন্ততপক্ষে, ব্যক্তিগতভাবে নয়।

তখন ফজলুল কাদের চৌধুরী জিজ্ঞেস করেন কোন ভাবে আপোষ হতে পারে কিনা? তখন শেখ মুজিব বলেন, আগামীকাল (১০ মে ১৯৪৯) সকাল সাড়ে দশটায় জেলারের মাধ্যমে ফোন করে তিনি ফজলুল কাদের চৌধুরীকে সিদ্ধান্ত জানাবেন। [1, pp. 155–157]

References:
[1] S. Hasina, Secret Documents of Intelligence Branch on Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, Vol I 1948-1950. Hakkany Publisher’s, 2018.
[2] গোয়েন্দা নথিতে বঙ্গবন্ধু 1948-1949, সংগ্রামের নোটবুক
Translated by Dr Razibul Bari