১৬ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইঞ্জার
রাতে পূর্ব জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অটো উইঞ্জার এর সন্মানে বাংলাদেশের পর রাষ্ট্রমন্ত্রী নৈশভোজের আয়োজন করেন সেখানে এক সংক্ষিপ্ত ভাসনে উইঞ্জার বলেন বাংলাদেশের সাথে জার্মানির চিরস্থায়ী বন্ধুত্তের সূচনা হল। তিনি বলেন স্বাধীন বাংলাদেশে পা রাখতে পেরে তিনি গর্বিত। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। ভোজসভায় সামাদ আজাদ বলেন উইঞ্জারের বাংলাদেশ সফর আন্তজার্তিক সম্পর্কের উদ্বোধন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সফরে উইঞ্জার আব্দুস সামাদ আজাদের সাথে কয়েকদফা বৈঠক করেন। পরে উইঞ্জার প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রপতি আবু সাইদ চৌধুরী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন এবং স্বীকৃতি দেয়ায় উইঞ্জারকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তার দেশের সরকার ও জনগনকে অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রপতিকে উইঞ্জার বলেন তিনি বাংলাদেশের জনগনের কাছে জার্মানির জনগনের শুভেচ্ছা বহন করে এনেছেন। উইঞ্জার শেখ মুজিবকে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ায় তার দেশের পক্ষ হতে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামাদ আজাদকে পূর্ব জার্মানি সফরের আমন্ত্রন জানান।
পূর্ব জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অটো উইঞ্জার বাংলাদেশ ত্যাগ কালে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন দু দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে তার দেশ বাংলাদেশকে যতদুর সম্ভব সাহায্য করে যাবে। তিনি বলেন ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর তারাও কঠিন অবস্থায় পড়েছিল তারা সে অবস্থা কাটিয়ে উঠেছে। আমি আশা করি শেখ মুজিবুর রহ্মানের নেতৃত্ব এ বাংলাদেশ এ কঠিন অবস্থা কাটিয়ে উঠবে। তিনি বলেন শেখ মুজিবের সাথে তার খুব আন্তরিকতার সাথে কথা হয়েছে তা থেকে চিরস্থায়ী বন্ধুত্তের সুত্রপাত হবে। এদিন উভয় দেশের মধ্যে যৌথ ইস্তেহার প্রকাশ হয় ইস্তেহারে বলা হয় রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব, একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন বিষয়ে উভয় দেশ পুনরায় দৃঢ় ঐক্য পোষণ করে। আন্তজার্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সনদের প্রতি উভয় দেশ একাত্মতা প্রকাশ করেছে। পূর্ব জার্মানির প্রেসিডেন্ট এক তার বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকে তার সরকারের অভিনন্দন জানান।