এম. রুহুল কুদ্দুস (সিএসপি ১৯৪৯)
শওকত ওসমান তাঁর স্মৃতিখণ্ড মুজিবনগর গ্রন্থে লিখেছেন (১৯৭১/৭ই ডিসেম্বর): “আজই বাঙলাদেশ সরকার রুহুল কুদ্দুস-কে মহাসচিবের (চীফ সেক্রেটারী) পদে নিয়ােজিত করেছে। আমাদের বাসস্থান পাঁচ মিনিটের পথ। সন্ধ্যার পর গিয়েছিলুম ওকে অভিনন্দন জানাতে। সীমান্ত পার হতে ভদ্রলােকের শরীরের উপর দিয়ে বেশ ঝড়-ঝাপ্টা গেছে। আরামপ্রদ জীবনযাপনে অভ্যস্ত অফিসারদের জন্যে তা অস্বাভাবিক নয়। তবে শেষ পর্যন্ত ভেতরে মনটা শক্ত থাকে যদি আদর্শের আকর্ষণে, সব সামলে নেওয়া যায়।”৭৬
বাঙালি সিভিল সার্ভিস অফিসারেরাও যে তাদের চিরাচরিত অভ্যস্ত ও আরামপ্রদ জীবনযাপন ছেড়ে অন্য সকলের মতাে সেদিন অনিশ্চিত জীবন- জীবিকার পথ বেছে নিয়েছিল মুক্তিসংগ্রামের সেই দিনগুলােতে- এ উক্তি তারই স্মারক।
ঢাকা জেলার প্রাক্তন জজ ও মুক্তিযােদ্ধা জে. জি. (জয় গােবিন্দ) ভৌমিক তার আত্মকথায় উল্লেখ করেছেন (জুন ১৯৮৪); “শেষ পর্যায়ে জনাব রুহুল কুদ্দুস সাহেব (প্রাক্তন সিনিয়ার সি, এস, পি,) মুজিবনগর সচিবালয়ে যােগদান করেন। কিছু দিনের মধ্যে সেক্রেটারী জেনারেল পদটি তুলে দিয়ে তাকে প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় তখন নুরুল কাদের খান সাহেব শুধু সংস্থাপন বিভাগের সচিব থাকেন।”৭৭
Reference: মুক্তিযুদ্ধে সিএসপি ও ইপিসিএস অফিসারদের ভূমিকা